জানা যায়, শুক্রবার (২২ মে) উপজেলার দৌলখাঁড় ইউনিয়নের দৌলখাঁড় বাইনবাড়ির মৃত আলী অকবরের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৬৫) করোনা উপসর্গ তথা জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যান। গত প্রায় ১৫ দিন পূর্বে তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে নিজ বাড়িতে আসেন। শারীরীক অসুস্থতা থাকায় তিনি লাকসামের একজন এমবিবিএস চিকিৎসকসহ দৌলখাঁড় বাজারের একজন পল্লী চিকিৎসদের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা গেলে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যবিভাগের করোনা র্যাপিড রেসপন্স টিম নমুনা সংগ্রহ করে বিধি মোতাবেক সর্বোচ্চ সতর্কতায় তার মরদেহ দাফন করেন। আজ মৃত ওই বৃদ্ধ সহ পাঁচজনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
আক্রান্ত অন্যদের মধ্যে রয়েছেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব ইনচার্জ, নোভা হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ওটিবয় ও খাটাচৌঁ কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারি। উপজেলা প্রশাসন নোভা হাসপাতাল ও খাটাচৌঁ কমিউনিটি ক্লিনিক লকডাউন ঘোষণা করেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েকজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত থাকায় কয়েকদিন আগেই তা লকডাউন করা হয়।
নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেব দাস দেব নতুন পাঁচজনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলায় এ পর্যন্ত ৫১ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া পরিবারের সকল সদস্যের রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় তারা বাধ্যতামুলক ১৪ দিনের হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকবেন।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লামইয়া সাইফুল জানান, উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। যা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে হলে সতর্কতার বিকল্প নেই। সকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসা-বাড়িতে অবস্থান করুন। আপনাদের যে কোন প্রয়োজনে উপজেলা প্রশাসন পাশে আছে।