ডেস্ক রিপোর্ট: করোনাকালীন সরকারি কর্মচারীদের জন্য ঘোষিত ক্ষতিপূরণের ৫০ লাখ টাকা পাচ্ছেন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা প্রথম চিকিৎসক ডা. মঈন উদ্দিনের পরিবার। শুক্রবার (৫ জুন) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা প্রথম চিকিৎসক হিসেবে সরকারি ক্ষতিপূরণের ৫০ লাখ টাকা ডা. মঈনের পরিবারকে দেওয়া হবে। ক্ষতিপূরণের জন্য ডা. মঈনের পরিবারের করা আবেদনটি সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ইতিমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় দ্রুতই ক্ষতিপূরণের অর্থ ডাক্তার মঈনের পরিবারকে প্রদান করবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন এই অতিরিক্ত সচিব।
উল্লেখ্য, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সেবায় দায়িত্বরত চিকিৎসক-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে থাকা মাঠ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও সশস্ত্র বাহিনী এবং প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত সরকারি কর্মচারীরা দায়িত্ব পালনকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
গত ২৩ এপ্রিল এই বিষয়ে একটি পরিপত্র প্রকাশ করে অর্থ মন্ত্রণালয়। যাতে বলা হয়, করোনা আক্রান্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের বেতন কাঠামো অনুযায়ী ৫ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা এবং আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তার পরিবার ২৫ লাখ টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন।
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ২৭ এপ্রিল মন্ত্রনালয়ে আবেদন করেছেন জানিয়ে ডা. মঈনের স্ত্রী ডা. চৌধুরী রিফাত জাহান বলেন, তারা সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় অর্থ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। তবে ক্ষতিপূরণ পাস হয়েছে কি না, তা এখনোও মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ গণমাধ্যমকে বলেন, সরাকর ঘোষিত ক্ষতিপূরণ দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রদান করতে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। ডা. মঈন উদ্দিনের পরিবারসহ আরও বেশ কয়েকটি পরিবারের আবেদন তারা পেয়েছেন। দ্রততম সময়ের মধ্যেই অর্থ ছাড়ের বিষয়ে আশাবাদী অর্থ মন্ত্রনালয় বলেও জনিয়েছেন ড. আবু ইউসুফ।
প্রসঙ্গত, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন গত ৫ এপ্রিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। প্রথমে সিলেটে চিকিৎসা দেওয়া হলেও পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় আনা হয়। এরপর রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৫ এপ্রিল তার মৃত্যু হয়।