চিত্রনায়িকা রত্না স্কুলে পড়তে এসেই নজর কেড়েছিলেন। ২০০২ সালে ক্লাস সেভেনে পড়া অবস্থায় ‘কেন ভালোবাসলাম’ ছবির মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে নাম লেখান রত্না। সেলিম আজম পরিচালিত এ ছবিতে তিনি ফেরদৌসের বিপরীতে অভিনয় করেন। এ পর্যন্ত তাঁর ৪৮টির মতো ছবি মুক্তি পেয়েছে। প্রযোজনাও করেছেন কয়েকটি ছবি।
মাঝখানে রত্না খবরে এসেছিলেন আওয়ামী লীগের নারী সংরক্ষিত আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম কিনে।
রত্না এও বলেন, ‘আমি খুব অল্প বয়সে চলচ্চিত্রে নাম লেখাই। তবে চলচ্চিত্রে কাজ করতে গিয়ে পড়াশোনার ক্ষতি হতে দিইনি। আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকল্যাণ বিষয়ে স্নাতক এবং একই বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করি। এখন আমি দেশ ও জনগণের জন্য কিছু করার স্বপ্ন দেখছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সমর্থন পেলে সততার সঙ্গে দেশের সেবা করার চেষ্টা করব।’
জি কে শামীম র্যাবের হাতে ধরা পর থেকেই সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। যার ধাক্কা লেগেছে মিডিয়া পাড়াতেও। একটি জাতীয় দৈনিক উঠে আসে শোবিজের অনেকের সঙ্গে শামীমের ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ।
অভিযোগ, টেন্ডার বাগিয়ে নিতে অনেক উঠতি নায়িকা থেকে শুরু করে মডেলদের ব্যবহার করতে টেন্ডার মাফিয়া জি কে শামীম। খবরে বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে জি কে শামীম ও যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ডিবি পুলিশের কাছে এসব তথ্য স্বীকার করেছেন বলে বলা হয়।
এই খবরে উঠে আসে বেশ ক’জন চিত্রনায়িকার সম্পৃক্ত থাকার ইঙ্গিত। সেখানেই রত্নার যুক্ত থাকার কথা ঈঙ্গিত দেয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল রত্নার নাম ফলাও করে প্রকাশ করে। এতে ক্ষেপে যান রত্না।
রত্না বলেন, ‘আমি স্বামী সন্তান নিয়ে সুখেই সংসার করছি। পরপর দুই বাচ্চা হওয়ায় ৫ বছর আমি চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি থেকে দূরে ছিলাম। মাস ছয়েক হলো স্টেজ শো করা শুরু করেছি। এরইমাঝে এমন খবর শুনলাম। অনেকের নামই শোনা যায়, কিন্তু কে এই জিকে শামীম তাকে আমি কখনোই চিনিনি বাঁ তার নাম শুনিনি।
কেন আপনার নাম জড়াতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমার যে আসলে কোনো শত্রু রয়েছে তা জানতাম না। অনেক নেতিবাচক প্রস্তাব এসেছে বিভিন্ন সময় সেসব ডিনাই করেছি। হয়তো এসব কারণে, অথবা নাও হতে পারে। আমি চাই সমস্ত বিষয়টার তদন্ত। ওই সাংবাদিককে যে পুলিশ অফিসার তথ্য দিয়েছেন সেটা যাচাই করা হোক, এমন তথ্য আসলে কোথা থেকে পেলেন ওই সাংবাদিক। এটার ততদন্ত হোক।
জিকে শামীমের সঙ্গে নাম জড়ানোয় বিচার চেয়ে রত্না বলেন, ‘অনেক শিল্পীই তো প্রধানমন্ত্রীর নিকট সহায়তা চেয়েছে আর্থিকভাবে। আমিও প্রধানমন্ত্রীর নিকট সহায়তা চাই। তবে সেটা আর্থিক নয়, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহায়তা চাই যারা আমার নামে এমন দুর্নাম রটিয়েছে তাদের বিচার চেয়ে।’