মো. খোরশেদ আলম
করোনা ভাইরাসের মহামারীর কারণে সমগ্র বিশ্ব অস্থিতিশীল। আমাদের দেশেও করোনা ভাইরাসের প্রভাব, মহামারী আকার ধারণ করায় ফ্রন্ট লাইনে যোদ্ধা হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
যুদ্ধক্ষেত্রে সম্মুখ সমরে যারা বুক চিতিয়ে দাঁড়ায় তাদের লক্ষ্য থাকে ডু ওর ডাই! বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সব সদস্যবৃন্দ ও এমন অবস্থানে। পরিবার বিচ্ছিন্ন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের সেবায়, মানুষের তরে নিবেদিত।
বাংলাদেশ পুলিশের জীবন্ত কিংবদন্তী, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, জনাব হাবিবুর রহমান বিপিএম(বার), পিপিএম(বার) মহোদয়ের দাপ্তরিক নির্দেশনা অনুযায়ী, মনিটরিং, নিয়ন্ত্রণ, তত্ত্বাবধানে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছে স্যারের নেতৃত্বে ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ।
যুদ্ধের ময়দানে যেমন একজন দক্ষ ও যোগ্য সেনাপতি যুদ্ধক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণ করে, কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে ধীরস্থির ভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে এগিয়ে যায় স্যার ও তেমন একজন মানুষ। পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যখন বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি, বিশেষ করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে স্যার তখন অভিভাবক হিসেবে খোঁজ নিচ্ছেন, চিকিৎসা সেবা ঠিকমতো হচ্ছে কিনা সেটা নিশ্চিত করতে হাসপাতালে যাচ্ছেন, আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের বাসায় ফোন করে তাদের সাহস, মনোবল যোগাতে পাশে আছেন, সর্বোপরি সকল ধরনের সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন ।এমন একজন মানবিক, ভরসা করার মত পুলিশ কর্মকর্তার অধীনে যে কেউ নিঃসংকোচ চিত্তে দায়িত্ব পালন করতে বদ্ধপরিকর।
স্যার কতটা মানবিক ও দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা সেটা করোনা পরিস্থিতির কারণে আরো একবার প্রমাণিত হলো। উত্তরণ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত করে সমাজের অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত হিজড়া এবং বেদে সম্প্রদায়ের লোকজনের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
ঢাকার সাভারের আমিনবাজার ও বি-বাড়িয়ায় হিজড়াদের জন্য বিউটি পার্লার তৈরি করে দিয়ে স্বাবলম্বী করে দিয়েছেন। পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীকে আত্মসম্মান ও স্বপ্ন নিয়ে বাঁচার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।
সবাই স্যারের জন্য দোয়া করবেন।
লেখক: অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
নারায়নগঞ্জ ‘খ’ সার্কেল|