স্টাফ রিপোর্টার:
কুমিল্লার লাকসাম থানার ৩শ’ গজের মধ্যে নগদ টাকা ও মালামালসহ ৩৫ লাখ টাকার দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হওয়ার ৩ সপ্তাহ পার হলেও পুলিশ কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে অসেন্তাষ দেখা দিয়েছে। ২৯ মার্চ (মঙ্গলবার) রাতে লাকসাম দৌলতগঞ্জ উত্তর বাজারস্থ গ্রামীনফোন লিমিটেডের পরিবেশক মেসার্স মাসুম টেলিকমে এ দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গ্রামীনফোন লিমিটেডের পরিবেশক মেসার্স মাসুম টেলিকমের অভিনব কায়দায় জানালার লোহার গ্রীল কেটে ভবনের ২য় তলায় মাসুম টেলিকম, ৩য় তলায় সাফওয়ান সেন্টার ক্যাশ এবং ৪র্থ তলায় ভাইয়া গ্রুপের কর্পোরেট শাখার বিভিন্ন অফিসের মালামাল তছনছ করে নগদ ২১ লাখ ২ হাজার ৫২০ টাকাসহ প্রায় ৩৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি করে। মালামালের মধ্যে রয়েছে, নগদ ২১ লাখ ২ হাজার ৫২০ টাকা, গ্রামীনফোনের ১০, ১১, ১৯, ২০, ২৪, ২৯ টাকা মূল্যের ১৪ লাখ ১৩ হাজার ৭০৩ টাকার ডাটা ও ভয়েস কার্ড।
এ ঘটনায় ৭ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানের হিসাবরক্ষক মাকছুদুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাত দূর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে লাকসাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই ঘটনার দীর্ঘ তিন সপ্তাহ পার হলেও পুলিশ এখনো কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে অসেন্তাষ দেখা দিয়েছে।
গ্রামীনফোন লিমিটেডের পরিবেশক মেসার্স মাসুম টেলিকমের জেনারেল ম্যানেজার মো. শহিদ উল্যাহ জানান, প্রতিষ্ঠানের চারতলা ভবনের সবকটি অফিসরুমে থাকা ষ্টীলের আলমিরা, ফাইল কেবিনেট, সেক্রেটায়েট টেবিলের ড্রয়ার, ক্যাশ সিন্দুকের দরজা ও লকার ভেঙ্গে বিভিন্ন ফ্লোর থেকে গ্রামীণফোনের ডাটা কার্ড, সীম কার্ড এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ প্রায় ৩৫ লাখ টাকা নিয়ে যায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা।
লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া মাসুম টেলিকমসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সহকারি পুলিশ সুপার (লাকসাম সার্কেল) মহিতুল ইসলাম জানান, দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে এ ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি ঘটনা সাথে জড়িতদের আটক করতে সক্ষম হবো।