রংপুর-৩ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। শনিবার সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়; চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয়জন। এরা হলেন- জাতীয় পার্টির প্রার্থী এরশাদ পুত্র রাহগির আল মাহি এরশাদ (সাদ), বিএনপির রিটা রহমান, স্বতন্ত্র হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, এনপিপির শফিউল আলম, গণফ্রন্টের কাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল।
সকালে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম। সাড়ে ৯টায় নগরীর লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে দু’টি বুথ ফাঁকা দেখা যায়। একটি বুথে চার থেকে পাঁচজন দাঁড়িয়ে রয়েছেন ভোট দেয়ার জন্য।
বেগম রোকেয়া কলেজে গিয়ে দেখা গেছে হাতে গোনা কয়েকজন লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। সকাল ৯টায় কামারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০ থেকে ১১ জন ভোটার দেখা গেছে। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে বলে আশা করছেন প্রিজাইডিং অফিসার।
আওয়ামী লীগ নির্বাচন থেকে জোটের কারণে প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এরশাদপুত্রের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন বিএনপির রিটা রহমান। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ লাখ ৪২ হাজার ৯২৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান পেয়েছিলেন ৫৩ হাজার ৮৯ ভোট। ভোট পড়েছিল ৫২ দশমিক ৩১ শতাংশ।
রংপুর-৩ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতোই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। ১৭৫ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, এক হাজার ২৩ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ২ হাজার ৪৬ জন পোলিং কর্মকর্তা ভোটগ্রহণের দায়িত্ব পালন করছেন। ইভিএমে ভোট হওয়ায় স্বল্প সময়ে ফলাফল ঘোষণা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহাতাব উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কোনও ধরনের সহিংসতা বা অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে কমিশন সদা সতর্ক রয়েছে। একটি কন্ট্রোল সেন্টার খোলা হয়েছে, যেখান থেকে পুরো আসনের নির্বাচনী পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। কোনো কেন্দ্রে ভোটার কিংবা এজেন্টকে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলে সে কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হবে।’
উল্লেখ্য, এইচএম এরশাদ গত ১৪ জুলাই চিকৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান। ১৬ জুলাই রংপুর-৩ আসন শূন্য হওয়ার গেজেট প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে ১ সেপ্টেম্বর উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে কমিশন।