বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সরকারে থাকা অবস্থায় রোহিঙ্গা সমস্যা যেভাবে মোকাবিলা করেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা করতে ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে দলের যুগ্ন মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মত ডিপ্লোমেটিক দূরদর্শিতা নেই।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন ভারতে গিয়েছেন তখন শুনেছি দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মূল বিষয়বস্তু তিস্তার পানিবন্টন, সীমান্ত হত্যা বন্ধ এবং আসামের এনআরসি তালিকা। কিন্তু এখন দেখছি পিয়াজ হয়ে গেছে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক আলোচনার বিষয়বস্তু। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নিজে একটি ফরমাল অনুষ্ঠানে পিয়াজ নিয়ে রসিকতা করছেন। এটা অত্যন্ত লজ্বার বিষয়।
শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জিয়া শিশু কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় সংসদ আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, প্যারিসে বোমা হামলা হয়েছে আর আমাদের বিনোদন বালক আওয়ামী লীগ সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন এর সাথে বিএনপি জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। সবকিছুতে যদি এভাবে বিএনপিকে দেখতে পান, তবে আমার ভয় হয় কবে জানি বলে ওঠেন আওয়ামী লীগ তিনবার ক্ষমতায় থাকার জন্য বিএনপি ও জিয়াউর রহমান দায়ী।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে যত প্রকার কষ্ট দেওয়ার তা এই সরকার দিচ্ছে। শহীদ জিয়াউর রহমানকে খাটো করার জন্য যত প্রকার নোংরামি করার তাও এই সরকার করছে। কিন্তু শহীদ রাষ্টপ্রতি জিয়াউর রহমান তার জীবনে কখনো শেখ মুজিবুর রহমানকে অসন্মান করেননি। শহীদ জিয়াউর রহমান তার অনেক বক্তব্যতে শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতীয় নেতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আজকে আমরা যার মুক্তির জন্য এখানে প্রতিবাদ সভা করছি সেই নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আমাদেরকে সাথে নিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বাবা শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের মাজার জিয়ারত করেছিলেন। এই খালেদা জিয়াই তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধে গোপালগঞ্জে হাসপাতাল করে দিয়েছিলেন। আর সেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথায় কথায় কারনে-অকারনে বেগম খালেদা জিয়া ও শহীদ জিয়াউর রহমানকে খাটো করে অশ্লীল বক্তব্য দেন। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় বিএনপির মধ্যে যে রাজনৈতিক শিষ্টাচারবোধ আছে তা আওয়ামী লীগের মধ্যে নেই।
জিয়া শিশু কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় সংসদের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর শিকদারের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সাদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এছাড়াও জিয়া শিশু কিশোর পরিষদের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।