রাজধানীর কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের শিক্ষার্থী সুরাইয়া আক্তার রিশা হত্যা মামলার রায় আজ রোববার ঘোষণা করা হবে।
রোববার দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ রায় ঘোষণা করবেন।
গত ১১ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেন। মামলার একমাত্র আসামি ওবায়দুল হক কারাগারে রয়েছেন।
২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট দুপুরে কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের সামনের ফুটওভার ব্রিজে রক্তাক্ত অবস্থায় রিশাকে উদ্ধার করা হয়। স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন ২৮ আগস্ট সকালে রিশার মৃত্যু হয়।
প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রিশাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন ঘাতক ওবায়দুল হক। তিনি রাজধানীর ইস্টার্ন মল্লিকা শপিংমলের বৈশাখী টেইলাসের কর্মচারী ছিলেন।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল যুগান্তরকে বলেন, চাঞ্চল্যকর এ মামলায় যে সাক্ষ্যপ্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে, তাতে আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি আমরা প্রত্যাশা করছি। এমন জঘন্য কাজের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। যাতে করে আর কেউ এমন জঘন্য কাজ করার সাহস না পায়।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট দুপুরে রিশাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন ২৮ আগস্ট সকালে রিশার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রিশার মা তানিয়া রাজধানীর রমনা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হত্যাচেষ্টা ও গুরুতর আঘাতের অভিযোগে একটি মামলা করেন। আর রিশার মৃত্যুর পর তাতে হত্যার অভিযোগে ৩০২ ধারা যুক্ত হয়।
মামলার পর ওই বছরের ৩১ আগস্ট নীলফামারী থেকে আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক আলী হোসেন ঘাতক ওবায়দুলকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন।
২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল আসামির বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠনের মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু করেন আদালত। গত ২৫ আগ আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন আসামি ওবায়দুল।
মামলায় চার্জশিটভুক্ত ২৬ জনের মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। মামলার একমাত্র আসামি ওবায়দুল গ্রেফতারের পর থেকেই কারাগারে রয়েছেন।