ফারুক আল শারাহ:
দুর্নীতিবিরোধী কঠোর অবস্থানের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন। তিনি বলেছিলেন আত্মীয়-স্বজন কিংবা দলের কেউ অনিয়ম-দুর্ণীতির সাথে জড়িত হলে কোন ছাড় দেয়া হবেনা। প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পরও গ্রেফতার হচ্ছিলনা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ সভপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাট। সরকারের মন্ত্রীরাও মিডিয়াকে এ বিষয়ে সুর্নির্দিষ্ট কোন তথ্য দিতে পারছিল না। এতে সম্রাটের গ্রেফতার নিয়ে ধোয়াশা দেখা হয়।
অবশেষে গত শনিবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাধারণ সভায় যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাট গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজনীতিতে ক্লিন ইমেজধারী সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা সম্রাট গ্রেফতার না হওয়ায় তিনি কড়া সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেওয়ার পরও কেন এখন পর্যন্ত সম্রাটকে আটক করা হয়নি? কেন এ নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি করা হচ্ছে? তাকে বাঁচানোর জন্য কারা ষড়যন্ত্র করছে, পায়তারা করছে। এগুলো আমাদের দেখতে হবে।’
অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে তাপস আরো বলেন, ‘বেসিক ব্যাংককে ডুবিয়েছে আব্দুল হাই বাচ্চু। আজ পর্যন্ত কেন দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে মামলা করেনি, তাকে আটক করেনি? সিটি করপোরেশনের এই ব্যর্থতা কেন? মশা মারার অর্থ কাদের পকেটে গেছে, কাদের পকেটে যায়? কে বা কারা এই প্রকল্প থেকে ২০ ভাগ টাকা আগেই পকেটস্থ করে? তাদের বিরুদ্ধে আগে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রকল্পে বালিশের দাম চড়া করা হয়, পরে সেই প্রকল্প ভাগাভাগি করা হয়। এর পেছনে বা নেপথ্যে কারা এই ষড়যন্ত্রকারী?’
তিনি আরো বলেন, ‘সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ছিলেন দুর্নীতিগ্রস্থ। ষোড়শ সংশোধনীর বাতিলের রায়কে ঘিরে ষড়যন্ত্র শুরু হলে আইনজীবীরা সোচ্চার ভূমিকা রাখেন। জাতীয় নির্বাচনেও আইনজীবীরা সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।’
অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্বচ্ছধারার রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের এমন বক্তব্য প্রশংসিত হয়। এমন বক্তব্যে টনক নড়ে প্রশাসনের । শেষ পর্যন্ত ব্যারিস্টার তাপসের কড়া সমালোচনার মাত্র ১২ ঘন্টার মধ্যেই গ্রেফতার ক্যাসিনো সম্রাট, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাট।