এজাহার সূত্রে জানা যায়, ধর্ষিত শিশু ও অভিযুক্ত ধর্ষক আপন চাচাতো-জেঠাতো ভাই-বোন। এই সুবাধে ধর্ষক মাহিন তার চাচাদের ঘরে ঘুমাতো এবং ধর্ষিত ওই শিশু (৮) পাশের কক্ষে তার অসুস্থ দাদির কাছে ঘুমাতো। এ সুযোগে মাহিন মুখ চেপে ধরে একাধিকবার ওই শিশুটিকে ধর্ষণ করে। গত ৩০ মার্চ রাতে ধর্ষণের ফলে শিশুটির গোপনাঙ্গে ব্যাথা ও রক্ত বের হলে পরেরদিন শিশুটির মা দৌঁলখাড় ইউপি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে মেয়েকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে। কিন্তু ভয়ে ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে বলেনি। এরপর ঈদুল ফিতরের দিন রাতে শিশুটির মা তার বাপের বাড়িতে যাবে বলে শিশুটিকে তার দাদুর সাথে ঘুমাতে বলে। তখন মেয়েটি তার দাদুর সাথে ঘুমাতে অপারগতা প্রকাশ করে জানায়, দাদুর সাথে ঘুমালে অভিযুক্ত মাহিন তার সাথে খারাপ কাজ করে।
এ ঘটনায় ধর্ষকের মা কাজল বেগমের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। প্রতিবারই একটি মেয়ে ফোন রিসিভ করে তার মা বাড়িতে নেই বলে জানায়।
নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ জমা দিয়েছেন। শিশুটি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। তার মেডিকেল পরীক্ষাও হয়েছে। অভিযুক্ত কিশোরকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।