ফারুক আল শারাহ:
কুমিল্লার লাকসামের জনপ্রিয় গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. লতিফা আহমদ লতা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার গুজব ছড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। চারদিন আগে তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসলেও দ্বিতীয় নমুনার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তিনি ও তার পরিবারের সকলে শতভাগ সুস্থ আছেন, ভালো আছেন। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
স্থানীয় স্বাস্থ্যবিভাগ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ডা. লতিফা আহমদ লতা নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্যবিভাগে গাইনী বিভাগের কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত। ওই হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হলে তিনিও নমুনা দেন। শনিবার (৩০ মে) তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এলে একটি মহল ফেসবুকে তার সুনাম বিনষ্ট করতে নানা বিভ্রান্তি ছড়ান বলে পরিবারের অভিযোগ।
আজ বুধবার (৩ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি মারা গেছেন বলে চক্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গুজব ছড়িয়ে দেন। যা মুহুর্তেই ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। পরবর্তীতে দায়িত্বশীল সূত্রের বরাতে তিনি সুস্থ ও ভালো থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা হলে অনেকে ফেসবুক স্ট্যাটাস মুছে দেন।
এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. লতিফা আহমদ লতার স্বামী চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. জহির উদ্দিন আহমদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এটা সম্পূর্ণ গুজব। তিনি ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। করোনার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমার স্ত্রী ডা. লতিফা আহমদ লতা ও আমি নোয়াখালি আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমুনা দিলে আজ রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। আমাদের শরীরে করোনার কোন উপসর্গও নেই। আমরা শতভাগ সুস্থ আছি, ভালো আছি।
তিনি আরো জানান, আমাদের পারিবারিক সুনাম বিনষ্ট করতে স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে। এমন গুজবে কর্নপাত না করতে তিনি সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।
স্থানীয় সূত্রে খবর নিয়ে জানা যায়, ডা. লতিফা আহমেদ লতা দক্ষিণ কুমিল্লায় একজন জনপ্রিয় গাইনী বিশেষজ্ঞ। তিনি রোগীদের আন্তরিক সেবার পাশাপাশি সঠিক পরামর্শ দেয়ায় এ অঞ্চলে তার বেশ সুনাম রয়েছে। আর এ সুনাম ক্ষুন্ন করতেই একটি মহল তাকে নিয়ে নানা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সৌদি আরব প্রবাসী লাকসামের কৃতি সন্তান পিন্টু খান জানান, প্রবাসে থেকে এমন মিথ্যা গুজব দেখে খুবই বিস্মিত হই। আমি আজ সকালে ডা. লতিফা আহমদ এর শারীরীক সুস্থতা জানার কিছুক্ষণ পর একটি চক্র ফেসবুকে গুজব ছড়িয়ে দেয়। সাথে সাথে আবারও খবর নিয়ে জানতে পারি তিনি শতভাগ সুস্থ আছেন। এ ধরনের মিথ্যা গুজব সমাজের জন্য ক্ষতি বয়ে আনতে পারে।
নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেব দাস দেব জানান, ডা. লতিফা আহমদ লতার রিপোর্ট পজিটিভ আসলেও তার মধ্যে করোনার কোন উপসর্গ নেই। তিনি ভালো আছেন বলে আমি খবর নিয়ে জানতে পেরেছি।