মুজিবুর রহমান দুলাল: কুমিল্লার লাকসামে গতকাল রোববার পুলিশ মহসিমা আক্তার সুমি (২৮) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। বাড়ির পাশে একটি পুকুর থেকে ওই গৃহবধুর মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। ওই গৃহবধু উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়নের সিংজোড় গ্রামের বেড়িবাঁধ এলাকার আবদুল মুনাবের ছেলে মো. রাব্বির স্ত্রী।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আগেরদিন (শনিবার) বিকেলে সুমি তাঁর স্বামীর সঙ্গে বাবার বাড়ি দেবপুর থেকে শ্বশুর বাড়ি সিংজোড়ে আসেন। অন্যান্য দিনের মত রাতের খাবার খেয়ে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়েন। সকাল ৬ টার দিকে ঘুম থেকে উঠে তাঁর স্ত্রীকে পাশে না দেখে বাড়িতে এবং আশ-পাশে খোঁজাখুজি করেন। বিভিন্ন স্থানে অনেক খোঁজাখুজি করে না পেয়ে অবশেষে সকাল পৌনে ৮ টার দিকে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে পানিতে ডুবে থাকা ওই গৃহবধুর মৃতদেহের সন্ধান মেলে।
সংবাদ পেয়ে লাকসাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই গৃহবধুর মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করেছেন পুলিশ।
ওই গৃহবধুর স্বামী রাব্বি জানান, প্রায় ৬ বছর আগে পার্শ্ববর্তী মনোহরগঞ্জ উপজেলার ঝলম (উত্তর) ইউনিয়নের দেবপুর গ্রামের রুহুল আমিনের মেয়ের সঙ্গে সামাজিক ভাবে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর সুখেই কাটছিল তাঁদের দাম্পত্য জীবন। পারিবারিক জীবনে কখনো তাঁদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়নি। তাঁদের ৪ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। চিকিৎসকের মতে ২/৩ দিন পর সন্তান প্রসবের কথা রয়েছে। কী ভাবে কী ঘটে গেল বুঝতে পারছি না।
এ ব্যাপারে লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিহত গ
ৃহবধুর মৃত্যুতে কোনো পক্ষের অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।