(প্রতীকি ছবি)
কেফায়েত উল্লাহ মিয়াজী: নাঙ্গলকোট উপজেলার ঢালুয়া উচ্চ বিদ্যালয় জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার। কারণ হিসাবে জানা যায়, ওই কেন্দ্রের অধিনে ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকরা পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, দু’ সহকারী প্রধান ও একজন সহকারী শিক্ষক পরীক্ষার খাতা জালিয়াতির কারণে ২ বছরের জন্য পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের অভিযোগ রয়েছে।
প্রশাসন ও কেন্দ্র পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে ঢালুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষায় কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেন। ওই বছর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা চলাকালে ঢালুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এক পরীক্ষার্থী তার একটি খাতা হল পরিদর্শকের নিকট জমা না দিয়ে সে পরীক্ষার্থী দুই দিন পর শিক্ষা বোর্ডে জমা দেন। এ ব্যাপারে শিক্ষা বোর্ড কেন্দ্র সচিবকে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। এর উপযুক্ত কারণ প্রদর্শন করতে না পারায় বোর্ড কর্তৃপক্ষ পরীক্ষায় দায়িত্বরত ৮ শিক্ষককে ২ বছরের জন্য পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন। ঢালুয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। জানা যায়, ৫টি স্কুলের প্রধান শিক্ষক কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের নকলে সহায়তারও অভিযোগ রয়েছে। ফলে ঢালুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেন, সিজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইলিয়াছ ভূঁইয়া, সহকারী প্রধান শিক্ষক মীর আহম্মেদ, চাঁন্দ গড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক লিটন, চৌকুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওবায়দুল হক, সহকারী প্রধান কামাল হোসেন, সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, আলহাজ্ব ছালামত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিনকে ২ বছরের জন্য কেন্দ্র সচিব, সহকারী কেন্দ্র সচিব, হল সুপার ও কক্ষ পরির্দশকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে ঢালুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেন বলেন, যদি খাতার বিষয়ে কোন জালিয়াতি হয়ে থাকে সেটি কক্ষ পরিদর্শক চৌকুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন ও একই স্কুলের সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ জড়িত। তবে নকলে সহযোগীতার বিষয়টি সঠিক নয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাছির উদ্দিন বলেন, ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় একটি বিষয়ে এক জন পরীক্ষার্থী এক দিন পর খাতা জমা দেয়ার কারনে কেন্দ্র পরিচালনার কাজে যারা জড়িত ছিল তাদেরকে দুই বছরের জন্য দায়িত্ব পালন থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।