স্টাফ রিপোর্টার: কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের কৃতি সন্তান সলিসিটর মোঃ ইকরামুল হক মজুমদার যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সহ-সভাপতি নির্বাচিত নির্বাচিত হয়েছেন। দেশ-বিদেশে বিএনপি’র রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকার কারণে তিনি যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সহ-সভাপতির পদ লাভ করেন। পদ লাভের পর থেকে নেতা-কর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন সলিসিটর ইকরামুল হক মজুমদার। যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সহ-সভাপতি নির্বাচিত করায় তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপি’র সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, জননেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে সাংগঠনিকভাবে সুশৃঙ্খল ও শক্তিশালী করার পাশাপাশি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করার আন্দোলনে যুক্তরাজ্য বিএনপি সর্বদা সক্রিয় থাকবে। দেশ-বিদেশে জনমত সৃষ্টির মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারম্যান বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বীরের বেশে দেশে ফিরিয়ে নেয়াই হবে আমাদের মুল লক্ষ্য। এজন্য আমরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত।
বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সলিসিটর ইকরামুল হক মজুমদার দলের হাইকমান্ডের নিকট বিএনপি’র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন চান। ওই নির্বাচনে দলের হাইকমান্ড বিএনপি’র উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরীকে মনোনয়ন দেন। দলের সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রেখে তিনি মামলা-হামলা ও ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন। দলের প্রতি অনুগত্যের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্প্রতি তিনি নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়কেরপদও লাভ করেন।
সূত্র মতে, সলিসিটর মোঃ ইকরামুল হক মজুমদার জিয়াউর রহমানের আদর্শে গড়া একজন নীতিবান রাজনীতিক। ছাত্রজীবন থেকে অধ্যাবধি সকল লোভ-লালসার উর্ধ্বে থেকে তিনি বিএনপি’র রাজনীতিতে সম্পৃক্ত রয়েছেন। নাঙ্গলকোটের বিএনপি’র রাজনীতিতে তিনি ত্যাগী ও জনপ্রিয় নেতা। দেশ-প্রবাসে যখন যেখানেই থাকেন বিএনপি’র রাজনীতিকে গতিশীল করতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন।
সলিসিটর মোঃ ইকরামুল হক মজুমদারের বাড়ি নাঙ্গলকোট উপজেলার পেড়িয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে। তিনি স্বাধীনতা পূর্ব ১৯৬৩ সালে ওই গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মৃত খিদর আলী মজুমদার। মাতার নাম মৃত মোসাম্মদ জৈতনের নেছা। ছাত্রজীবনে তিনি অত্যন্ত মেধাবী ও জনপ্রিয় ছিলেন। তিনি অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে ১৯৮৩ সালে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এস.এস.সি এবং ১৯৮৫ সালে একই বিভাগে এইচ.এস.সি পাশ করেন। তিনি ১৯৮৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হিসাব বিজ্ঞান (সম্মান) এবং ১৯৮৯ সালে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৯৯১ সালে ঢাকা ল’ কলেজ থেকে এলএলবি পাশ করেন। তিনি ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের সোলেন্ট ইউনিভার্সিটি থেকে এললবি (সম্মান) ডিগ্রী অর্জন এবং একই ইউনিভার্সিটি থেকে এসিসএ ডিগ্রীর উপর কোর্স সম্পন্ন করেন।
১৯৮৩ সালে মাধ্যমিকে অধ্যয়নকালীন তিনি বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ১৯দফা কর্মসূচিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে ছাত্রদলের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ছোটকাল থেকেই তিনি সমাজ ও মানব সেবার স্বপ্ন হৃদয়ে ধারণ করতেন। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন তিনি ছাত্রদলকে গতিশীল করতে ও সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অনবদ্য ভূমিকা পালন করেন। বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে একজন মেধাবী, জনপ্রিয় ও সাহসী ছাত্র নেতাহিসেবে সম্মুখপানে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
সলিসিটর মোঃ ইকরামুল হক মজুমদার দাম্পত্য জীবনে একজন সুখী মানুষ। তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে যুক্তরাজ্যে বসবাস করে আসছেন। তিনি ১৯৯৭ সালে সিলেটের মৌলভী বাজার শহরের হামিদা বেগম মজুমদারকে ইসলামী শরীয়া সম্মতভাবে বিয়ে করেন। তার স্ত্রী যুক্তরাজ্যে একজন সরকারি চাকুরিজীবি। দাম্পত্য জীবনে তিনি একমাত্র পুত্র ও একমাত্র কন্যা সন্তানের গর্বিত জনক। তাঁর ছেলে মোঃ আজিম মজুমদার যুক্তরাজ্যের বিপিপি ইউনিভার্সিটি থেকে সাফল্যের সাথে এলএলবি সম্পন্ন করেন এবং কন্যা নিসাত মজুমদার একাউন্টিং বিষয়ে অধ্যয়নরত।
সলিসিটর মোঃ ইকরামুল হক মজুমদার কর্মজীবনে একজন সফল ব্যক্তি। তিনি আইন পেশায় অত্যন্ত সুনামের সাথে নিয়োজিত রয়েছেন। তিনি ১৯৯৩ইং সালে আয়কর আইনজীবি হিসেবে ঢাকা ট্যাক্সেস বার এর অধীনে আইন পেশায় কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৯৫ সালে ঢাকা বার এসোসিয়েশনের আইনজীবি হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ঢাকা বার এসোসিয়েশন এর আজীবন সদস্য। তিনি যুক্তরাজ্যে এলএলবি (অনার্স) ডিগ্রী শেষ করার পর প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ শেষে পরীক্ষায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে সিনিয়র কোর্ট অব ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েল্স এর সলিসিটর হিসেবে যুক্তরাজ্যে আইন পেশায় কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি যুক্তরাজ্যের সলিসিটর রেগুলেশন অথরিটির অনুমোদন সাপেক্ষে হিন্স সলিসিটরস নামে একটি নিজস্ব আইনী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল সলিসিটর হিসেবে তিনি সুনাম ও সুখ্যাতির সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডে অবস্থিত এ.এম.এ সলিসিটরস্ এন্ডকোং এর অধীনে এসোসিয়েট সলিসিটর হিসেবে সিনিয়র কোর্ট অব আয়ারল্যান্ডেও পেশাগত কাজে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তিনি একজন সুনামধন্য আইনজীবি হিসেবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য বিএনপিকে আইনী সহায়তা দিয়ে আসছেন। তিনি যুক্তরাজ্য বিএনপি’র উপদেষ্টা এবং যুক্তরাজ্য আইনজীবি ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে বিএনপি’র সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগের মাধ্যমে সাংগঠনিক ও সার্বিক বিষয়ে দলকে গতিশীল করতে কাজ করে যাচ্ছেন।
নাঙ্গলকোটের বিএনপি রাজনীতিতেও সলিসিটর মোঃ ইকরামুল হক মজুমদার এজন ত্যাগী ও জনপ্রিয় নেতা। তিনি নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পেরিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ১৯৯১-১৯৯৫ সাল পযন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ঢাকা ল’ কলেজের সাবেক ভিপি থাকাকালীন কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সলিসিটর মোঃ ইকরামুল হক মজুমদার প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি ওই সময় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও মহাসচিব কে.এম ওবায়দুর রহমানের নেতৃত্বে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের অধীনে সারাদেশে সকল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বর্জন আন্দোলনের অংশ হিসেবে মতিঝিল সবুজবাগ নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বোমার আঘাতে গুরুত্বর আহত হয়ে মুমুর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। দীর্ঘ প্রায় ২ মাস মহাসচিব কে.এম ওবায়দুর রহমান ও সাবেক ছাত্রনেতা খায়রুল কবির খোকনের সার্বিক সহযোগিতায় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরেন। এ ভয়াবহ দৃশ্যপটের স্মৃতি হৃদয়ে ধারণ করলেও তিনি রাজনীতিতে আদর্শচ্যুত হননি। দলের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রেখে রাজনীতি করে যাচ্ছেন।
রাজনীতিতে অপরিসীম ত্যাগের কারণে সলিসিটর ইকরামুল হক মজুমদার ঢাকা মহানগরের মতিঝিল থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি, ঢাকা মহানগরী ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক হিসেবে ঢাকা মহানগরী ও তৃণমুল পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক দলকে সুশৃঙ্খল ও শক্তিশালী করতে কাজ করেন। সলিসিটর মোঃ ইকরামুল হক মজুমদার বর্তমানে যুক্তরাজ্য বিএনপি’র বিভিন্ন সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণ করে প্রবাসে বিএনপি’র ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে চলেছেন। কর্মজীবনে নানা ব্যস্ততার মাঝে তিনি বেশিরভাগ সময় রাজনীতির পেছনে সময় ব্যয় করেন। তিনি দেশ-বিদেশে অবস্থানরত কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। সুযোগ পেলেই তিনি নাড়ির টানে নিজ জন্মভূমি কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে আসেন। নাঙ্গলকোটে এসেই তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে একাকার হয়ে যান। বিভিন্ন সভা-সামাবেশে যোগ দিয়ে দলকে সুশৃঙ্খল ও গতিশীল করতে ভূমিকা রাখেন। মামলা সমস্যায় জর্জরিত নাঙ্গলকোটের বিএনপি নেতা-কর্মীদের আইনী পরামর্শ ও আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মীদের সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়ান।
সলিসিটর মোঃ ইকরামুল হক মজুমদার দেশ-প্রবাসে বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থেকে দেশ ও মানবতার কল্যাণে কাজ করে আসছেন। তিনি ড. খন্দকার মোঃ মোশারফ ফাউন্ডেশন যুুক্তরাজ্য শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ব্যাপক সমাজ সেবা ও স্বেচ্ছাসেবী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। একজন সৎ ও দক্ষ আইনজীবি হিসেবে তিনি ন্যায় বিচার বঞ্চিত মানুষদের সহযোগিতা করে আসছেন। এছাড়াও তিনি শিক্ষা বঞ্চিত মানুষদের শিক্ষা সহায়তা, চিকিৎসা বঞ্চিতদের চিকিৎসা সহায়তা, কন্যা দায়গ্রস্ত মেয়ের বিয়েতে সহায়তার পাশাপাশি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে সাধ্যমত সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটের ৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি’র প্রার্থীদের পক্ষে জনমত সৃষ্টিতে সলিসিটর মোঃ ইকরামুল হক মজুমদার সাহসী ভূমিকা পালন করেন। নির্বাচনকালীন বিএনপি প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণায় ২০দলীয় জোটের কোন শীর্ষ নেতাকে দেখা না গেলেও তিনি ৮টি ইউনিয়নে বিএনপি’র প্রার্থীদের পক্ষে ব্যাপক প্রচারণা চালান। তিনি নিজ উদ্যোগে নির্বাচনী মনিটরিং সেল গঠন করে প্রার্থী ও ভোটারদের কেন্দ্রে গিয়ে নির্ভয়ে ভোট দেয়ার উৎসাহ যোগান। নির্বাচনের ৫দিন আগে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, বিএনপি প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় বাঁধা, কেন্দ্র দখল সহ বিভিন্ন অনিয়মের আশংকা জানিয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্বাচন কমিশনের সুদৃষ্টি কামনা করেন। পরবর্তীতে তাঁর আশংকা সত্য হলে নির্বাচনের দিন প্রথম প্রহরেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। সলিসিটর মোঃ ইকরামুল হক মজুমদারের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে নির্বাচনে অনিয়মের বিষয়টি তদন্তের জন্য ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দল নাঙ্গলকোটে এসে তদন্ত করেছেন।
বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপি’র মনোনয়ন চাইলেও শেষ পর্যন্ত দলের হাইকমান্ড বিএনপি’র উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরীকে মনোনয়ন দেন। ওই নির্বাচনে তিনি দলের প্রার্থীর পক্ষে জীবনবাজি রেখে কাজ করেন। ওই সময় দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে গিয়ে তিনি মামলা-হামলার শিকার হন। মনোনয়ন না পেয়েও তিনি দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন জানিয়ে যে জাগরণ সৃষ্টি করেছেন তাতে প্রতিপক্ষের রোষানলে পড়েন। নির্বাচনকালীন সময়ে তার গাড়িতে একাধিকবার হামলার ঘটনা ঘটে। নির্বাচনী প্রচারণা থেকে সরে দাঁড়াতে তাকে নানা হুমকি-ধমকি দেয়া হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে নির্বাচনের পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত তিনি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরীকে ধানের শীষে বিজয়ী করতে তিনি উদাত্ত আহবান জানান।
রাজনীতিতে এমন ত্যাগের কারণে সলিসিটর ইকরামুল হক মজুমদার নির্বাচন পরবর্তী ঘোষিত নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপি’র কমিটিতে অন্যতম যুগ্ম আহবায়কের পদ লাভ করেন।
যুক্তরাজ্যে বিএনপি’র বিভিন্ন সভা, সমাবেশ ও সরকার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার কারণে সলিসিটর মোঃ ইকরামুল হক মজুমদার সম্প্রতি ঘোষিত যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ইতোপূর্বে এ কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
সলিসিটর মোঃ ইকরামুল হক মজুমদার বলেন- আমি নাঙ্গলকোটের সন্তান হিসেবে গর্ববোধ করি। কর্মজীবনে যেখানেই অবস্থান করিনা কেন সর্বদা নাঙ্গলকোটের বিএনপি-প্রেমীদের ভালোবাসায় আমি সিক্ত ও অভিভূত। দলের হাইকমান্ড আমাকে যুক্তরাজ্য বিএনািপ’র সহ-সভাপতি এবং নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক মনোনীত করায় আমি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি এম.এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়চর এম আহম্মেদ সহ বিএনপি’র সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সাথে তিনি নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতি অভিনন্দন জানান। এ অর্জনের মধ্য দিয়ে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে চাই যে, জননেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে সাংগঠনিকভাবে সুশৃঙ্খল ও শক্তিশালী করার পাশাপাশি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করার আন্দোলনে যুক্তরাজ্য বিএনপি সর্বদা সক্রিয় থাকবে। দেশ-বিদেশে জনমত সৃষ্টির মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারম্যান বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বীরের বেশে দেশে ফিরিয়ে নেয়াই হবে আমাদের মুল লক্ষ্য। এজন্য আমরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত।