হুমায়ুন কবির মানিক: কুমিল্লার নবগঠিত লালমাই উপজেলার ভাবকপাড়া দক্ষিণ পশ্চিমপাড়ায় অর্ধশতাধিক পরিবারের চলাচলের পথ অবরোধের অভিযোগ পাওয়া গেছে। চলাচলের পথ সংকীর্ণ করায় স্থানীয়দের পাশাপাশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আয়েশা বিনতে কালাম নূরানী হাফেজিয়া মহিলা মাদ্রাসার ক্ষুদে শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের।
স্থানীয়রা জানান, ভাবকপাড়া দক্ষিণ পশ্চিমপাড়ার সওদাগর বাড়ির চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি দিয়ে ওই বাড়ি সহ আশপাশের অর্ধশতাধিক পরিবারের বাসিন্দারা গত কয়েক যুগ ধরে চলাচল করে আসছে। প্রশস্ত রাস্তা দিয়ে বেবি-টেক্সি, রিক্সা, এম্বুলেন্স চলাচল করতো অনায়াসে। গত কয়েক বছর আগে মৃত বখশ্ আলীর ছেলে আলী আশ্রাফ গং জনচলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে সেসময়ের লাকসাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন সওদাগর বাড়ির প্রবাসী আবুল কালামের স্ত্রী হনুফা বেগম। চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে রাস্তাটি খুলে দেয়া হয়। পরবর্তীতে ভাবকপাড়া লাকসাম উপজেলা থেকে নবগঠিত লালমাই উপজেলার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর পুনরায় রাস্তায় বেড়া দিয়ে জনচলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আলী আশ্রাফ গং।
সওদাগর বাড়ির বাসিন্দাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংকট নিরসনের লক্ষ্যে বেশ কয়েকবার ইউনিয়ন পরিষদে সালিশী বৈঠকের আহবান করা হলে তা এড়িয়ে যান আলী আশ্রাফ গং। সমঝোতার পরিবর্তে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা অভিযোগ করেন তিনি। গ্রামের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দু’ পক্ষের সমঝোতা এবং পথ সংকট নিরসন প্রত্যাশা করছেন ভাবকপাড়া গ্রামবাসী।
এ বিষয়ে প্রবাসী আবুল কালামের স্ত্রী হনুফা বেগম বলেন, আামাদের চলাচলের পথ অবরোধ করে বেড়া এবং দেয়াল নির্মাণের প্রতিবাদ করায় তারা আমাকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি ধমকি দিচ্ছেন। বেশ কয়েকবার তারা আমার বাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করেছে। আমি চাই পথ নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা শীঘ্রই নিরসন হোক। বেড়া ও দেয়াল নির্মাণের কারণে জনচলাচলে বিঘœতার কথা স্বীকার অভিযুক্ত আলী আশ্রাফ বলেন, তিনি তাদের মালিকানাধীন জায়গার মধ্যেই বেড়া দিয়েছেন।