প্রদীপ মজুমদার: কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের মজুমদারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চাঁন-মুইল্লা প্রকাশ নতুন ডাকাতিয়া নদী থেকে মাটি উত্তোলন করে ব্রিকফিল্ডে বিক্রি করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে নদীর পাড়ের বাড়ি-ঘর ও ব্রীজ বিলীন হওয়ার আশংকায় পালপাড়া গ্রামের মানুষের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লালমাই উপজেলার পালপাড়া গ্রামের উপর দিয়ে চাঁন-মুইল্লা নদী (গাংগ) বয়ে গেছে। নদীর দুই ধারে মালিকানা জায়গায় বাড়ি-ঘর তৈরি করে স্থানীয়রা বসবাস করে আসছে। গত প্রায় ৭/৮ দিন থেকে চেয়ারম্যান আবুল খায়ের মজুমদার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে প্রভাব বিস্তার করে রাতের অন্ধকারে ওই নদী থেকে প্রতিরাতে ২শ’ ট্রাক মাটি উত্তোলন করে বিভিন্ন ব্রিকফিল্ডে বিক্রি করছে।
মাটি বিক্রি থেকে প্রতিদিন ৪ লাখ টাকা হারে আয় হচ্ছে। মাটি বিক্রি সিন্ডিকেটের বিল্লাল জানান তার মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের, উপজেলা প্রশাসন, চেয়ারম্যানের ক্যাডার বাহিনীর এবং তোফায়েল, জাকির,ইমান আলী, তাজু, রবিউল, পিয়ার আহম্মেদ জাহাঙ্গীর সহ ওই টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেন বলে অভিযোগ করেন।
এদিকে, প্রতিদিন রাতে নদী থেকে মাটি উত্তোলনের বিষয়টি জানতে পেরে গত বুধবার রাতে স্থাণীয় সংবাদ কর্মীরা ঘটনাস্থল গিয়ে সত্যতা পান। সংবাদ কর্মীরা তাৎক্ষনিক বিষয়টি উপজেলা ও থানা প্রশাসনকে অবহিত করলেও মাটি উত্তোলন বন্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে জানার জন্য মাটি সিন্ডিকেটের হোতা বিল্লালের সাথে কথা বললে তিনি সংবাদ কর্মীদের ৫০ হাজার টাকা প্রদানের প্রস্তাব দিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন।
পালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী জানান, প্রতিদিন রাতের অন্ধকারে নদী থেকে প্রায় ২শ’ ট্রাক মাটি উত্তোলন করায় আমরা আতংকে আছি। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের বাড়ি-ঘর ব্রীজ নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। চলমান অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে আমরা স্হানীয় সাংসদ অর্থমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের মজুমদার বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন। এ বিষয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি।
লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে.এম ইয়াসির আরাফাত বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।