স্টাফ রিপোর্টার: কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর নামে এক যৌন ও চর্ম রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকেলে নাঙ্গলকোট হাছান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ মসজিদ থেকে আসরের নামাজ পড়ে বের হওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে। ওই চিকিৎসক কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চর্ম ও যৌন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
এ ঘটনায় ওই চিকিৎসক বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালের মালিক সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী (৪০) ও পৌর সদরের হরিপুর গ্রামের হারুন রশিদের ছেলে আকাশ সহ (১৯) অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে নাঙ্গলকোট থানায় মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। সম্প্রতি পদোন্নতি জনিত কারনে তিনি বদলি হয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। রোগীদের সুবিধার্থে তিনি সপ্তাহের প্রতি শনিবার বিকেল ৪টা থেকে নাঙ্গলকোট জেনারেল হাসপাতালে সেবা দিয়ে থাকেন।
শনিবার আসরের নামাজ পড়ে কলেজ মসজিদ থেকে বের হলে আকাশসহ ১০-১২জন ওই চিকিৎসককে আক্রমন করে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এসময় হামলাকারীরা বলে ওঠেন ‘তুই নাঙ্গলকোটে চেম্বার করতে পারবিনা, করলে তোর পরিণতি ভালো হবে না’।
খবর পেয়ে নাঙ্গলকোট জেনারেল হাসপাতালের ম্যানেজার রায়হান চিকিৎসককে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে তার উপরও হামলা হয় এবং তার হাত ঘড়ি ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়, গত ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর ওই চিকিৎসকের মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত নাম্বার থেকে ফোন করে বলে, ‘আপনি নাঙ্গলকোটে চেম্বার করতে হলে পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালে করতে হবে’।
হামলার শিকার ডা. জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, আমি নাঙ্গলকোটে দীর্ঘদিন যাবৎ চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছি। আমার ধারণা নাঙ্গলকোট পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালের চেম্বার না করায় মালিক সাইফুল ইসলাম এ ঘটনার নেপথ্যে থেকে আমার উপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
অভিযুক্ত পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালের মালিক সাইফুল ইসলাম বলেন, এমন ঘটনাটি কে বা কারা ঘটিয়েছে তা আমার জানা নেই। আমার বিরুদ্ধে জেনারেল হাসপাতালের মালিক একটি বড় ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। ডাক্তারের উপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন অর রশিদ পিপিএম বলেন, হামলার ঘটনায় ওই চিকিৎসক বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।