স্টাফ রিপোর্টার: কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের বিষ্ণুপুর গ্রামের হারুন রশিদের মেয়ে রাবেয়া আক্তার প্রতারক স্বামীর বিচার চেয়ে সমাজপ্রতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। পরে অপারগ হয়ে কুমিল্লার আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে রাবেয়া। মামলা নং ৯৮২/১৮। আদালতে মামলা করেও কোন ফল হয়নি। স্বামী ফেনী জেলার দাগন ভূঁইয়া উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের পুত্র জাকের হোসেন মনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকা স্বত্ত্বেও গ্রেফতার করছেনা পুলিশ।
জানা যায়, কয়েক বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয় রাবেয়ার। বিয়ের সময় শ্বশুর বাড়ীর লোকদের খুশি করতে রাবেয়ার পরিবার স্বর্ণের গহনা ও অসবাবপত্র উপটোকন হিসেবে প্রদান করেন। বিয়ের কিছু দিন পর জাকের ব্যবসার কথা বলে শ্বশুর বাড়ী থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে যায়। পরে টাকা ফেরৎ চাইলে স্ত্রী রাবেয়ার উপর নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন। তাকে বিভিন্ন সময় হত্যা করার চেষ্টা করে বলে দাবী করেছে ভুক্তভুগী।
রাবেয়া জানায়, বিয়ের সময় আমাদের পরিবার অনেক টাকার উপটোকন পাঠায় আমার স্বশুর বাড়ী। পরে ব্যবসার জন্য আমি জাকেরকে এক লাখ টাকা নিয়ে দিই। কিছু দিন পর সে আমার উপর বিভিন্ন ছোটখাট বিষয় নিয়ে নির্যাতন শুরু করে। প্রতিবাদ করলে আমাকে চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে গলাটিপে হত্যারও চেষ্টা করে। অপারগ হয়ে আমি তাদের গ্রামের সমাজপ্রতিদের দ্বারেদ্বারে গুরে কোন বিচার পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে ২০১৮ সালে কুমিল্লার আদালতে মামলা দায়ের করি। মামলার পর জাকেরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকলেও দাগন ভূঁইয়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না। এ বিষয়ে আমি মানবাধিকার সংগঠনসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।