স্টাফ রিপোর্টার: কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে করোনাভাইরাস সচেতনতায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘সংশপ্তক’। স্বেচ্ছাসেবী এ সংগঠনটি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত নাঙ্গলকোট উপজেলার শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত।
করোনা পরিস্থিতিতে মানুষকে সহযোগিতা ও সচেতনতার প্রত্যয়ে এই স্বেচ্ছাসেবী টিমটি গঠিত। টিমের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম। পৌরসভা ও উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে জন্য রয়েছে ১৭ জন টিম প্রধান। তারা সকলেই দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠনটির সদস্য সংখ্যা বর্তমানে ২৬৬ জন। এর মধ্যে কোভিড-১৯ এর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৫ জন চিকিৎসকও কাজ করছেন। সহযোগিতায় রয়েছেন আরো ৭ জন চিকিৎসকসহ ৪১ জন মেডিকেল শিক্ষার্থী।
গত কয়েকদিন ধরে স্বেচ্ছাসেবী এ সংগঠনের উদ্যোগে নাঙ্গলকোট উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় একযোগে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ, সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ, গ্রামে গ্রামে মাইকিং ও বিদেশ ফেরতদের খোঁজ-খবর নেওয়া। প্রবাসীদের করোনা সংক্রমণ এড়াতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে উৎসাহিত করা হয়েছে। নাঙ্গলকোট উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ বাজার ও গ্রামে গ্রামে অটিমের সদস্যরা জীবাণুনাশক স্প্রে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সংশপ্তক’র সমন্বয়ক জহিরুল ইসলাম জানান, আমাদের এই সংগঠনের সদস্যদের সকলের বাড়ি নাঙ্গলকোট উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। আমরা সকলেই শিক্ষার্থী। আমরা চাই চলমান দূর্যোগপূর্ণ মুহুর্তে উপজেলাবাসীর পাশে থাকতে। সকলকে করোনার মতো প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে সচেতন করতে। তাই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যেই তালিকাভুক্ত ২৬৬ জন সদস্যের বাইরে আরো অনেকেই আমাদের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছা প্রকাশ করছেন। আমাদের এই কার্যক্রম সবসময় অব্যাবহ রাখতে চেষ্টা করবো। পাশাপাশি আমরা এই টিমের মাধ্যমে মানুষের থেকে সহযোগিতা ও অনুদান সংগ্রহ করে নাঙ্গলকোট উপজেলার দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে খাবার (চাল, ডাল ইত্যাদি) বিতরণ করবো। এজন্য সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।