স্টাফ রিপোর্টার: কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক সমূহের যত্রতত্র স্পিডব্রেকার থাকায় ঘটছে অহরহ দুর্ঘটনা, বাড়ছে ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতি। সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এক শ্রেণীর মানুষ উপজেলার অধিকাংশ সড়কের যত্রতত্র স্পিডব্রেকার দিয়ে জনদূর্ভোগ সৃষ্টি করেছে।
জানা যায়, উপজেলার প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে গ্রামীন অঞ্চলের ছোট-বড় সড়কগুলোতে ব্যাপক হারে স্পিডব্রেকার দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, দোকানপাট, বাড়ি-ঘরের সামনে যে যার ইচ্ছেমতো স্পিডব্রেকার সৃষ্টি করেছে। এতে দ্রুতগতিতে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে। এক ঘন্টার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগে দেড় থেকে দু’ঘন্টা। আবার কোথায়ও অপরাধজনিত ঘটনা ঘটলে আইনশৃংখলা বাহিনীর গাড়ি ঘটনার স্থলে পৌঁছতে অনেক সময় লেগে যায়। এছাড়া, অসুস্থ রোগী, সন্তান সম্ভাবা নারী, বৃদ্ধ বয়সীদের সড়কে চলাচল করতে কষ্ট ভোগ করতে হয়। সড়কের যত্রতত্র এসব স্পিডব্রেকার থাকায় একদিকে ঘটছে দুর্ঘটনায়। অন্যদিকে বাড়ছে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি সহ বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা।
সিএনজি চালক দাউদ হোসেন বলেন, উপজেলার বিভিন্ন সড়কে শত শত স্পিডব্রেকার থাকায় অহরহ দুর্ঘটনা, ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতির ঘঁনা ঘটছে।
স্থানীয়রা নির্বিঘœ যাতায়াত নিশ্চিত এবং দুর্ঘটনা রোধে যত্রতত্র বসানো অপ্রয়োজনীয় স্পিডব্রেকারগুলো জরুরি ভিত্তিতে অপসারণের দাবি জানান।
নাঙ্গলকোট উপজেলা প্রকৌশলী উজ্জল চৌধুরী বলেন, স্পিডব্রেকার দেয়ার বিষটি আমরা সমর্থন করিনা। তবে যেগুলো দেয়া হয়েছে সেগুলোর বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।