ফারুক আল শারাহ: মৃত্যুর ১৪ বছর পরও লাকসামের সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে স্মরণীয় আলহাজ্ব মোকছোদ আলী। তিনি বৃহত্তর লাকসাম উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। একজন দানবীর হিসেবে তাঁর ব্যাপক পরিচিতি ছিল। ভাইয়া গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে দেশের শিল্পাঙ্গনে রেখে গেছেন অনবদ্য অবদান। কীর্তিমান এ মানুষের মেধা ও বুদ্ধিমত্ত্বায় গড়া বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে আজ হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
জীবদ্দশায় আলহাজ্ব মোকছোদ আলী ছিলেন একজন কিংবদন্তিতুল্য মানুষ। তিনি ছিলেন প্রকৃত সমাজ সেবক ও দানবীর। বৃহত্তর লাকসামের (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) মানুষের উপকারে তিনি ছিলেন সর্বদা তৎপর। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মানুষকে দান করে দানবীরের খেতাব অর্জন করেছেন। বৃহত্তর লাকসামবাসীকে ঘিরেই ছিল তাঁর পথচলা। আজ থেকে ১৪ বছর আগে ২০০৬ সালের ২৮ এপ্রিল আজকের এ দিনে তিনি সবাইকে কাঁদিয়ে পরপারে পাড়ি জমান। তার মৃত্যুতে লাকসাম-মনোহরগঞ্জের সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে। আজ তিনি মরেও অমর। শ্রদ্ধায়-ভালোবাসায় এখানকার মানুষ এ গুণী ব্যক্তিত্বকে স্মরণ করেন।
আজ ২৮ এপ্রিল মঙ্গলবার আলহাজ্ব মোকছোদ আলীর মৃত্যুবার্ষিকী। চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোন কর্মসূচির আয়োজন না থাকলেও পারিবারিক আয়োজনে কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রয়াত আলহাজ্ব মোকছোদ আলী পরিবারের অন্যতম সদস্য, তাঁর সুযোগ্য ভাতিজা, ভাইয়া গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন মামুন বলেন, আমার পরম শ্রদ্ধেয় চাচা আলহাজ্ব মোকছোদ আলী ছিলেন একজন ক্ষনজন্মা মানুষ। তিনি আমাদের মাঝে মাত্র ৫৪ বছর বেঁচেছিলেন। তিনি ছিলেন বর্তমান সময়ের শিল্প-কারখানা নির্ভর বিপ্লবের প্রথমকার সময়ের শিল্পযোদ্ধা। জীবদ্দশায় তিনি সৃষ্টি করে গেছেন অনেক শিল্প ও সেবা খাত। তাঁর প্রতিষ্ঠিত শিল্প কারখানায় হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। শাখাওয়াত হোসেন মামুন আরো বলেন, এমন গুণী মানুষের পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি খুবই গর্বিত। বাস্তবিক অর্থে তিনি আমার আইডল। তিনি আমাকে পাশে বসিয়ে ব্যবসায় হাতেখড়ি দিয়েছেন। তিনি আমার কাছে চিরঅমর। আমার বিশ্বাস তিনি তার সৃষ্টির কাছেও অমর। মহান আল্লাহতায়ালা তাঁকে বেহেন্ত নসীব করুক। আমি কামনা করি তিনি অনাদিকাল তার সৃষ্টি-কর্মের মধ্যে বেঁচে থাকবেন। আপনারা সবাই আমার চাচার জন্য দোয়া করবেন।