ফারুক আল শারাহ:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের পৌরসদরের কেন্দ্রা গ্রামের এক বিধবা নারী পাঁচ কন্যা সন্তান নিয়ে দুইদিন ধরে অনাহারে দিনাতিপাত করছেন, স্থাণীয় এক কলেজ শিক্ষার্থীর দেয়া এমন খবরে তাৎক্ষনিক তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘টিম সংশপ্তক’। টিমের সমন্বয়ক জহিরুল ইসলাম চাল,ডাল, তৈল, মুরগী, শাক,সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী ওই নারীর বাড়িতে পৌঁছে দেন। এসময় ওই নারীর মুখে হাসি ফুটে ওঠে।
জানা যায়, ওই নারীর স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করে কোনভাবে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে এখন কাজও নেই। জরাজীর্ণ একটি ঘরে পাঁচ মেয়ে নিয়ে থাকেন তিনি। সামান্য একটু বৃষ্টিতেই ঘরের ছালের ফুটো দিয়ে পড়ে পানি। ঝড়ের মধ্যে চরম আতঙ্কে দিন কাটাতে হয় তাদের। ছোট মেয়েটি চলতি বছর টাকার অভাবে এসএসসি পরীক্ষার ফরম ফিলাপ করাতে পারেনি। তাই দেয়া হয়নি এসএসসি পরীক্ষা। চরম অর্থেকষ্টে ওই নারী পাঁচ মেয়েকে নিয়ে দিনাতিপাত করে আসছিলেন।
চলমান করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক ও নাঙ্গলকোটের কৃতি সন্তান নঈম নিজামের নিজস্ব অর্থায়নে গরীব, অসহায় ও কর্মহীনদের জন্য চালু করা হয়েছে ‘হ্যালো সংশপ্তক’। হটলাইনে সমস্যাগ্রস্ত কারো ফোন পেলেই মুহুর্তেই খাদ্য সামগ্রী নিয়ে হাজির হচ্ছেন টিমের স্বেচ্ছাব্রতীরা। আজ শুক্রবার ওই বিধবা নারী পাঁচ কন্যাকে নিয়ে দুইদিন ধরে অনহারে আছেন, এমন তথ্য পেয়েই তাৎক্ষনিক নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী নিয়ে হাজির হয় ‘টিম সংশপ্তক’।
‘টিম সংশপ্তক’ এর সমন্বয়ক জহিরুল ইসলাম জানান, সংগঠনের উদ্যোগে ইতোমধ্যে নাঙ্গলকোট উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১৭শ’ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। বর্তমানে ‘হ্যালো সংশপ্তক’ এর আওতায় ১১ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও ৪২ জন কর্মহীন পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে ‘টিম সংশপ্তক’। সমস্যাগ্রস্ত কারো ফোন পেলেই টিমের সদস্যরা রাতের আঁধারে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন।