শাহ নুরুল আলম: আজ ৩রা মে কুমিল্লা জেলার বৃহত্তর লাকসাম উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ইন্জিনিয়ার আবু নাছের ভূঁইয়ার ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। এই উপলক্ষে মরহুম ইন্জিনিয়ার নাছের ভূঁইয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে গ্রামের বাড়ি মনোহরগন্জের পরানপুর কবর জিয়ারত কোরআনখানি ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
ইন্জিনিয়ার আবু নাছের ভূঁইয়া লাকসামের বিএনপির রাজনীতির জন্য আর্শিবাদ। ১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপ’র ভরাডুবির পর লাকসামে বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে সংকট দেখা দেয়। ওইসময় পরাজিত সাবেক এমপি এটিএম আলমগীর রাজনীতির মাঠ থেকে নিজেকে কৌশলে সরিয়ে নেন তিনি। ১৯৯৬ সালের পর মাঠের রাজনীতিতে আলোচনা আসেন সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ার ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবু নাছের ভূঁইয়া। সাংগঠনিক অবদানে তাকে লাকসাম উপজেলা বিএনপির আহবায়ক পদবী দেয়া হয়। পরবর্তীতে বৃহত্তর লাকসাম উপজেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব লাভ করেন। ইন্জিনিয়ার আবু নাছের ভূঁইয়া সাংগঠনিক দায়িত্ব পাওয়ার পর বিএপিকে ঢেলে সাজানোর জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তিনিসহ তাহার সাংগঠনিক টিম বৃহত্তর লাকসামের ২২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সবকয়টি ইউনিট ভেঙ্গে কাউন্সিল এর মাধ্যমে নেতা ও কমিটি নির্বাচিত করেন। ওই সময়কার লাকসামের অধিকাংশ ইউপি নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীরা জয়ী হয়। তিনি বৃহত্তর লাকসাম উপজেলা যুবদল ও ছাত্রদলকে সাংগঠনিকভাবে খুব শক্তিশালী করেন। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর লাকসামের বিরোধী দলের সকল শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী নাছের ভূইয়ার নেতৃত্বে সফলভাবে পালন করে স্থানীয় বিএনপি।
ইন্জিনিয়ার আবু নাছের ভূঁইয়া কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির রাজনীতিতে আইকন ছিলেন। বিশেষ করে তৃণমূলের কর্মীদের কাছে তিনি বেশ জনপ্রিয় এবং কর্মীদের বিপদের বন্ধু ছিলেন। তিনি বৃহত্তর লাকসাম উপজেলা বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার কারণে ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন কুমিল্লা-১০ আসনে বর্তমান-কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগন্জ) সংসদীয় আসনে তিনি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু তিনি চুড়ান্ত মনোনয়ন পাননি। দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন শিল্পপতি কর্ণেল (অব.) এম. আনোয়ারুল আজিম পিএসসি। ইন্জিনিয়ার নাছের ভূইয়া দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে দলীয় প্রার্থী কর্ণেল ( অবঃ) এম. আনোয়ারুল আজিম এর নির্বাচনী প্রচারণায় সিপাহীসালার ভূমিকা পালন করেন। কর্ণেল ( অবঃ) আজিম ২০০১ সালের ১ লা অক্টোবর নির্বাচনে বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে ইন্জিনিয়ার আবু নাছের ভূঁইয়া ও তৃণমুলের কর্মীদের আন্তরিকতার আন্তরিকতার সাথে কাজ করে।
১৮তম মৃত্যু বার্ষিকীতে কোন কর্মসূচী আছে কিনা এই সম্পর্কে জানতে চাইলে ইন্জিনিয়ার আবু নাছের ভূঁইয়া ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. মুহাম্মদ নুর উল্লাহ্ রায়হান বলেন- করোনাভাইরাসের কারনে কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। মরহুমের রুহের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও স্বরণ সভার আয়োজন করার প্রস্তুতি চলছে। একই সাথে পারিবারিক আয়োজনে কোরআনখানি ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।