স্টাফ রিপোর্টার: কুমিল্লার লাকসামে রোজা রেখে কৃষকের ধান কেটে মাড়াই করে ঘরে তুলে দিয়েছে এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। আজ সোমবার শহরের ঐতিহ্যবাহী নওয়াব ফয়জুন্নেচ্ছা ও বদরুন্নেচ্ছা যুক্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা বাতাখালি গ্রামের প্রান্তিক কৃষক আবদুল মালেকের ২০ শতক জমির ধান কেটে মানবিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন।
জানা যায়, করোনা পরিস্থিতি ও বিরূপ আবহাওয়ায় সারাদেশের ন্যায় লাকসামের কৃষকরা শ্রমিক সঙ্কটে পড়েছেন। অনেক কৃষকের ধান মাঠে নষ্ট হতে চললেও শ্রমিক সঙ্কটে বাড়ি তুলতে পারছেন না। ইতোমধ্যে রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কৃষকের ধান কেটে আলোচনায় আসেন। জেলা শিক্ষা অফিসের নির্দেশনা এবং নওয়াব ফয়জুন্নেচ্ছা ও বদরুন্নেচ্ছা যুক্ত উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আবদুল আলিম দিদারের উৎসাহ-উদ্দীপনায় ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা রোজা রেখে বাতাখালি গ্রামের প্রান্তিক কৃষক আবদুল মালেকের ২০ শতক জমির ধান কেটে মাড়াই করে ঘরে তুলে দেন। এসময় ওই কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠে।
কৃষকের ধান কাটা কার্যক্রমে অংশ নেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন হেলাল (শ্রেষ্ঠ জেলা প্রধান শিক্ষক), সহকারি প্রধান শিক্ষক মুনির আহমেদ, সিনিয়র শিক্ষক ইব্রাহিম খলিল মজুমদার, গোলাম সাদিক, আবদুল আজিজ, খবির আহমেদ, সঞ্জীব চন্দ্র ভৌমিক, শহীদুল ইসলাম, সোহরাব হোসেন, আবুল কাসেম, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আমান উল্লাহ, জাহাঙ্গীর, জুয়েল, স্কুল কেবিনেট রিপন, সততা সংঘের জাহিদ, বিতার্কিক আরিফ প্রমূখ।
লাকসাম নওয়াব ফয়জুন্নেচ্ছা ও বদরুন্নেচ্ছা যুক্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন হেলাল জানান, চলমান পরিস্থিতিতে শ্রমিক সঙ্কটে কৃষকরা দূর্ভোগে পড়েছেন। মানবিক দিক বিবেচনায় রোজা রেখে একজন কৃষকের ধান কেটে মাড়াই করে ঘরে তুলে দিয়েছে। সমস্যাগ্রস্ত মানুষের উপকারে আনন্দ পাওয়া যায়। বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারীদের আন্তরিক সহযোগিতায় কাজটি করতে পারায় সকলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
ক্যাপশন: লাকসামে প্রান্তিক কৃষকের ধান কেটে মাড়াই করে দিচ্ছেন শিক্ষকরা।