ফারুক আল শারাহ:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে দুইজন স্বাস্থকর্মী সহ আরও ৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে উপজেলায় সর্বমোট ১৪ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্যবিভাগ নতুন তিনজন আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
জানা যায়, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানিটারী ইন্সপেক্টর, মানরা কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার ও আদ্রা গ্রামের জনৈক ব্যক্তি রয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের র্যাপিড রেসপন্স টিমের অধীনে স্যানিটারী ইন্সপেক্টরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশান বিভাগে, কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার ও আদ্রা গ্রামের আক্রান্ত ব্যক্তিকে হোম আইসোলেশানে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১১ মে উপজেলার রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের পূর্ববামপাড়া গ্রামের শ^াশুড়ি-পুত্রবধূ, ১৩ মে দৌলখাঁড় ইউনিয়নের কান্দাল গ্রামের দুই ভাই-বোন, ১৬ মে উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামের দুই সহোদর ও জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নের পানকরা গ্রামের এক যুবক, ১৮ মে পৌরসভার একজন, ঢালুয়া ইউনিয়নের মকিমপুর গ্রামের এক পল্লী চিকিৎসক, ওই ইউনিয়নের চিওড়া গ্রামের একজন ও সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের একজনের করোনা শনাক্ত হয়। আজ নতুন তিনজন সহ এ উপজেলায় সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ জনে দাঁড়াল।
এছাড়া গত ১৮ মে উপজেলার বটতলি ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের স্বামী ও স্ত্রীর করোনা শনাক্ত হয়। তারা লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে নমুনা পরীক্ষা করায় তাদেরকে নাঙ্গলকোটের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বর্তমানে তাদেরকে লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ওয়ার্ডে আইসলোশানে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লামইয়া সাইফুল নাঙ্গলকোটে নতুন তিনজন সহ সর্বমোট ১৪ জন আক্রান্ত এবং লাকসামে উপজেলার আরো দুইজন আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে সতর্কতার বিকল্প নেই। সকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসা-বাড়িতে অবস্থান করুন। আপনাদের যে কোন প্রয়োজনে উপজেলা প্রশাসন পাশে আছে।