স্টাফ রিপোর্টার: পৈত্রিক সম্পত্তির ন্যায্য হিস্যা পেতে সামাজিক ধ্যান দরবার কাজে আসেনি। বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করে লাকসাম পৌরসভার বাতাখালীর বাসিন্দা অসহায় আলী নেওয়াজ। আদfলতের নির্দেশ মোতাবেক উক্ত সম্পত্তিতে স্থিতিবস্থা বজায় থাকার কথা। কিন্তু চতুর ভাইপো জহিরুল হক বাবুর্চি পুলিশের সাথে কানামাছি খেলে ইতিমধ্যেই আদালতের রায়কে অবজ্ঞা করে নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছে।
লাকসাম পৌর এলাকার বাতাখালী পূর্বপাড়ায় মৃত আব্দুল মজিদের ৫ ছেলের বিরুদ্ধে নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি জবর-দখলের অভিযোগে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও আদালতের কঠোন নির্দেশনা কামনা করেছেন আলী নেওয়াজ।
তিনি অভিযোগ বলেন, আব্দুল মজিদ তার আপন ভাই। পৈত্রিক সূত্রে তারা ৬ ভাই-বোন ১৮ শতক জায়গার মালিক হন। তম্মধ্যে তার ভাই আব্দুল মজিদ ৪ শতক এবং অপর ৫ ভাই-বোন বাকি ১৪ শতক জায়গার মালিক। আব্দুল মজিদ মারা যাওয়ার পর তার ছেলে জহুরুল হক, হাবিবুল হক, আনোয়ারুল হক, মাছুদ ও সালেহ আহম্মদ পুরো ১৮ শতক সম্পত্তি অবৈধ ভাবে তাদের দখলে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ৫ ভাই-বোনের পক্ষে আলী নোয়াজ বাদি হয়ে গত ২৭ জানুয়ারি কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৫ ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত লাকসাম থানা পুলিশকে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক দখল-বেদখল নির্ণয় করে প্রতিবেদন দিতে এবং সার্বিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নির্দেশ দেন। আদালতের রায় উপেক্ষা করেই আলী নোয়াজের ভাতিজারা ওই জায়গায় ভবন নির্মাণ করে চলেছেন। এ বিষয়ে তিনি লাকসাম থানা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জহুরুল হক বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা বিএস খতিয়ান সংশোধনী আইনে মামলা করেছি’। কিন্তু বিল্ডিংয়ের কাজ কিভাবে সম্পন্ন হল এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর তিনি দিতে পারেননি।
লাকসাম থানার উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি বেশ কয়েকবার ওই জায়গা পরিদর্শন করেছি। নির্মাণাধীন ভবনে কাউকে পাইনি। আদালতের রায় উপেক্ষা করে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’