স্টাফ রিপোর্টার: লাকসামের সুপরিচিত সাংবাদিক, সামাজিক ব্যক্তিত্ব আহসান উল্লাহ মিয়াজি (৪৯) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহে রাজিউন)। শনিবার রাত ১২টার দিকে তিনি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বাড়ি উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামে। তিনি স্বপরিবারে লাকসাম শহরের পশ্চিমগাঁও এলাকায় বসবাস করতেন। আজ রবিবার (২১ জুন) পৃথক দুইটি জানাজা শেষে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
জানা যায়, সাংবাদিক আহসান উল্লাহ মিয়াজি ‘সময়ের দর্পণ’ এর প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। গত কয়েকদিন আগে সাংবাদিক আহসান উল্লাহ মিয়াজি শারীরীকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুক্রবার (১৯ জুন) তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে ভর্তি দেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওইদিন বিকেলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২০ জুন) দিবাগত রাত ১২টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুর মাত্র ৪দিন আগে তাঁর পরম শ্রদ্ধেয়া মা সবাইকে কাঁদিয়ে চিরবিদায় নেন। চারদিনের ব্যবধানে মা ও ছেলের মৃত্যুতে লাকসামে শোকের ছায়া নেমে আসে।
সাংবাদিক আহসান উল্লাহ মিয়াজির প্রথম জানাজা আজ রবিবার সকাল ৫:৩০ ঘটিকায় শহরের পশ্চিমগাঁও এবং দ্বিতীয় জানাজা সকাল ৬:৩০ ঘটিকায় সাতবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে জানাজায় বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
ব্যক্তিগত জীবনে সাংবাদিক আহসান উল্লাহ মিয়াজি অত্যন্ত সৎ, বিনয়ী, পরোপকারী ও পরহেজগার ব্যক্তি ছিলেন। তিনি মানুষের বিপদে মানবিকতা নিয়ে পাশে দাঁড়াতেন। করোনা দূর্যোগেও তিনি সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে সাধ্যমতো সহযোগিতা করেছেন। সাম্প্রতিক করোনা আক্রান্ত কয়েকটি পরিবারের তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেন।
সাংবাদিক আহসান উল্লাহ মিয়াজির মৃত্যুতে সময়ের দর্পণ এর সম্পাদক এ.এফ.এম শোয়ায়েব, নির্বাহী সম্পাদক ফারুক আল শারাহ ও সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার শাহ নুরুল আলম গভীর শোক প্রকাশ ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
এক শোকবার্তায় তারা বলেন, সাংবাদিক আহসান উল্লাহ মিয়াজি একজন গুণী মানুষ ছিলেন। জীবনের প্রতিটি স্তরে তিনি সততার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। সমাজের সমস্যাগ্রস্ত মানুষের কল্যাণে তিনি নিবেদিতভাবে কাজ করেন। তার মানবীয় গুণাবলী যুগ যুগ সময়ের দর্পণ পরিবার স্মরণ রাখবে।