ফারুক আল শারাহ:
কুমিল্লার লাকসামে আট মাসের অন্তসত্ত্বা স্ত্রীসহ চিকিৎসক দম্পতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার স্বামী আবদুল্লাহ আল মামুন (৩৬) এক সপ্তাহ পর একই পদে দায়িত্বরত স্ত্রী খোদেজা আক্তার (৩২) এর রিপোর্টও পজিটিভ এসেছে। খোদেজা আক্তার আট মাসের অন্তসত্ত্বা। করোনা পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের মানবিক চিকিৎসা দিতে গিয়ে তারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
জানা যায়, উপজেলার নরপাটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে চাকুরি করেন আবদুল্লাহ আল মামুন ও খোদেজা আক্তার দম্পতি। তাদের মধ্যে স্বামী পুরুষ ও স্ত্রী মহিলা রোগীদের চিকিৎসা দেন। করোনা পরিস্থিতিতে শহরের অধিকাংশ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান করোনা উপসর্গ সম্পন্ন রোগীদের সেবা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় স্থানীয়রা নরপাটি উপস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভীড় জমায়। ঝুঁকি জেনেও চিকিৎসক দম্পতি নিয়মিত আন্তরিকতাপূর্ণ সেবা প্রদান করে আসছিলেন। এরই মধ্যে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়ায় স্বামী আবদুল্লাহ আল মামুন নমুনা দেন। রবিবার (৫) জুলাই তার নমুনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। স্বামী করোনা আক্রান্তের পর আট মাসের অন্তসত্ত্বা স্ত্রীরও উপসর্গ দেখা দেয়ায় নমুনা দেন। রবিবার (১২ জুলাই) তার রিপোর্টও পজিটিভ আসে।
লাকসামের নরপাটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, করোনা ঝুঁকি জেনেও আমি এবং আমার স্ত্রী রোগীদের সেবা দিয়ে আসছিলাম। আমার স্ত্রী আট মাসের অন্তসত্ত্বা হওয়ায় কিছুটা চিন্তিত। দ্রুত সুস্থ হয়ে আমরা যেন সুস্থ হয়ে আবারো রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে পারি এজন্য সকলের দোয়া কামনা করছি।