ডেস্ক রিপোর্ট:
ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। যুবলীগের ৭ম কংগ্রেস উপলক্ষে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য চয়ন ইসলামকে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদকে সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
রোববার (২০ অক্টোবর) বিকেলে শুরু হওয়া গণ ভবনে যুবলীগের ৩১ সদস্যের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অব্যাহতি পাওয়ার পরদিন সোমবার একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ওমর ফারুক চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমি তো শাস্তি পেয়েছি-ই। কয়েক দিন ধরে গৃহবাস এবং কাল দল থেকে গেট আউট। কষ্ট যা পাওয়ার পেয়েছি। সর্বোচ্চ কষ্ট পেয়েছি। এখন তো আর রাজনীতি করতে পারব না, নতুন যাত্রা শুরু করতে হবে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট আপনাকে চাঁদার ভাগ দিতেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এমন তথ্য দিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওমর ফারুক বলেন, সম্রাট রিমান্ডে কী বলেছেন তা আপনি নিজে দেখেছেন বা শুনেছেন কী? উনি (সম্রাট) যা খুশি বলতে পারেন। এসব তথ্য আমলে নিয়ে বিচারপ্রক্রিয়া কেমন হয় তা দেখার অপেক্ষায় আছি।
তিনি বলেন, নানা বিষয়ে আমার নামে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। তবে সব কিছুরই একটা প্রক্রিয়া আছে। সেই প্রক্রিয়া অনুযায়ী আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যদি তাদের মনে হয় ক্যাসিনোর টাকা আমার ব্যাংকে ঢুকেছে তাহলে তারা আমাকে নোটিশ দেবে, এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড), দুদকে (দুর্নীতি দমন কমিশন) পাঠাবেন। তারা তদন্তে প্রমাণ পেলে উচ্চ আদালতে জানাবেন। আমি সেখানে যাব।
ওমর ফারুক বলেন, এখন পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে যা হয়েছে তা মিডিয়া ট্রায়ালের কারণে হয়েছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম স্বাধীন। বাংলাদেশের গণমাধ্যম ৩০-৩৫ দিন ধরে বলছে যে, ক্যাসিনোকাণ্ডসহ নানা অপরাধে চেয়ারম্যান (যুবলীগ) অর্থাৎ আমি ওমর ফারুক জড়িত। মিডিয়া ট্রায়ালে আমার বিচার হয়ে গেছে।
আপনারা (সাংবাদিক) লেখনির মাধ্যমে প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, আমি আর দল করতে পারব না, রাজনীতি করতে পারব না। মিডিয়া ট্রায়াল শেষ। আমাকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এর মানে ‘ইউ আর নো মোর’। এখন আমি যতই সত্য কথা বলি, তা মিথ্যা ফিকশন হয়ে যাবে। তাই আর কিছু বলতে চাই না।
তিনি আরো বলেন, মিডিয়া আমার বিষয়ে যা লিখছে, যা দেখাচ্ছে পাবলিক তা-ই খাচ্ছে। আমার এখন উচিত ঘরে বসে থাকা। করণীয় কিছু নেই। এজন্য অবশ্য আমি মিডিয়াকে কোনো দোষ দিতে চাই না। কারণ বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম স্বাধীন।