বেতন বৈষম্য নিরসন না হলে প্রাথমিকের সমাপনীসহ সব পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা।বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পূর্বঘোষিত সমাবেশে পুলিশ বাধা দেয়। পরে দোয়েল চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ এ ঘোষণা দেয়।
সংগঠনটির আহ্বায়ক আনিসুর রহমান জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের জন্য দশম গ্রেড এবং সহকারী শিক্ষকদের জন্য ১১তম গ্রেডের ঘোষণা ২০১৭ সালে দেওয়া হয়েছিল। এখনো সেই ঘোষণা বাস্তবায়ন হয়নি।
১৩ নভেম্বরের মধ্যে বেতনের বৈষম্য নিরসন না করা হলে ১৪ নভেম্বর থেকে প্রতিটি কর্মবিরতির পাশাপাশি ১৭ নভেম্বরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ও বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয় সমাবেশে।
এর আগে পূর্বঘোষিত সমাবেশ করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কয়েক হাজার শিক্ষক শহীদ মিনার এলাকায় জড়ো হলে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেয়।
পরে তারা দোয়েল চত্বরে গিয়ে সমাবেশ করে কর্মসূচি ঘোষণা করে সমাবেশ শেষ করেন।
বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকেরা ১৪তম গ্রেডে ও প্রশিক্ষণবিহীন শিক্ষকেরা ১৫তম গ্রেডে বেতন পান। আর প্রশিক্ষণ পাওয়া প্রধান শিক্ষকেরা ১১তম গ্রেডে এবং প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকেরা ১২তম গ্রেডে বেতন পান।