ডেস্ক রিপোর্ট: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে ৪৭ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন নয় লাখেরও বেশি লোক। ভাইরাসটি নিয়ে তথ্য প্রকাশকারী আন্তর্জাতিক জরিপ পর্যালোচনাকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটার এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, চীন থেকে বিশ্বের ২০২টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৪৭ হাজার ২২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন নয় লাখ ৩৫ হাজার হাজার ৫৮১ জন। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৯৪ হাজার ২৬০জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনে বৈশ্বিক এ মহামারির প্রাদুর্ভাব শুরু হলেও ভাইরাসটিতে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন, আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৫ হাজার ৭৯২।
মৃত্যুতে ইতালির পরই রয়েছে স্পেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ৫৩ জন মারা গেছেন, আর আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২ হাজার ১৩৬।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রও আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে গেছে। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৮৮ হাজার ৫৯২ জন, মারা গেছেন ৪ হাজার ৫৬ জন।
করোনার কেন্দ্রবিন্দু চীনে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৫৫৮ জন। মারা গেছেন ৩ হাজার ৩১২ জন।
ইউরোপের আরেক দেশ ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে রোগী বেড়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৫২ হাজার ১২৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৯৯ জন। যা ফ্রান্সে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
জার্মানিতেও প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৭২ হাজার ৩৮৩ জন, আর মৃত্যু হয়েছে ৭৮৮ জনের।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ইউরোপের প্রায় সব দেশ লকডাউন। যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেকের বেশি মানুষ ঘরবন্দী। এ রকম লকডাউন চলছে এশিয়া ও আফ্রিকাসহ অন্যান্য মহাদেশেও।
এশিয়ার মধ্যে ইরানের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে সেখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩৬ জনে, আর মোট আক্রান্ত হয়েছে ৪৭ হাজার ৫৯৩ জন।
এদিকে পাকিস্তানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৪২ হয়েছে, মারা গেছেন ২৬ জন। ভারতে মৃতের সংখ্যা ৪৫ জন, আক্রান্ত ১ হাজার ৫৯০ জন।
বাংলাদেশে নতুন করে আরো দু’জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ জনে, এর মধ্যে ছয় জন মারা গেছেন।