ত্রাণ দুর্নীতি বন্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ কৌশল বাস্তবায়ন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেন, দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই- এ জাতীয় অপরাধে যারা জড়িত তাদের আইনের মুখোমুখি হতেই হবে। কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
ইকবাল মাহমুদ আরো বলেন, অপরাধীদের সামাজিক বা পেশাগত পরিচয় কমিশনের কাছে ন্যূনতম কোনো গুরুত্ব বহন করে না।
মঙ্গলবার দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো ত্রাণ সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগের ধরণ, মামলা তদন্তের অগ্রগতি, আসামিদের গ্রেফতারসহ সার্বিক বিষয়ে বৈঠককালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কমিশনের ত্রাণ আত্মসাৎ প্রতিরোধ কার্যক্রম বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদক কর্মকর্তারা ঝুঁকি নিয়ে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন, যা প্রশংসার দাবি রাখে।
তিনি বলেন, ত্রাণ কার্যক্রমের শুরুতেই আত্মসাতের পরিণতি সম্পর্কে কমিশন থেকে সতর্ক করা হয়েছিল। গণমাধ্যমও কমিশনের বক্তব্য ব্যাপকভাবে প্রচার করে। তারপরও কিছু দুর্নীতি-অনিয়ম-স্বজনপ্রীতির ঘটনা ঘটেছে। আমরা বলেছিলাম- এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করবে কমিশন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, অন্যান্য মামলার মতোই ত্রাণ আত্মসাতের প্রতিটি মামলা সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হবে। প্রয়োজনে একটি বিশেষ কমিটি বা টাস্কফোর্স গঠন করে এসব মামলার তদন্ত ও প্রসিকিউশন কার্যক্রম মনিটরিং করা হবে।
গত ১২ এপ্রিল থেকে ১১ মে পর্যন্ত সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অধীন খাদ্যবান্ধব কার্যক্রমের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও ইউপি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মোট ১৫টি মামলা করেছে দুদক।
বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবকটি মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে।