শিরোনাম
  মনোহরগঞ্জের নাথের পেটুয়া ইউনিয়ন এলডিপি কর্মী ফাহিমের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ: নিরাপত্তাহীনতায় পরিবার       লাকসামে টানা ৪০ দিন নামাজ পড়ে সাইকেল পেল ১৯ শিশু-কিশোর       লাকসামে নেসলে বিডি’র গোডাউনে অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি       লাকসামের সাখাওয়াত হোসাইন মামুন জেসিআই বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’র চেয়ারম্যান নির্বাচিত       কুমিল্লায় নিখোঁজের তিন দিনেও সন্ধান মিলেনি স্কুল ছাত্র ইয়াসিন আরাফাতের        লাকসামের আজগরা হাজী আলতাপ আলী হাইস্কুল এণ্ড কলেজের এসএসসি পরিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা       কিছু বিপদগামী নেতা দলের ভেতর অন্তঃকোন্দল সৃষ্টি করার পায়তারা করছে: আজগরা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল       এএসপি আনিসুল করিমের কবরে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের শ্রদ্ধাঞ্জলি       অনলাইনে কুমিল্লা সরকারি সিটি কলেজে একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা শুরু       প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ    


রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. জিল্লুল হাকিমের ভয়ে তারই নির্বাচনী এলাকার দুই শতাধিক নেতাকর্মী এখন এলাকাছাড়া। তাদের কেউ কেউ এমপি আশ্রিত বাহিনীর হামলার শিকার হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। আবার অনেকে বছরের পর বছর এলাকায় যেতে পারছেন না জেলা আওয়ামী লীগের এই সভাপতির ভয়ে। ভুক্তভোগী এসব নেতাকর্মী প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের আইজি, রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বহু দপ্তরে অভিযোগ করেছেন; কিন্তু কোনো প্রতিকার মিলছে না।

জিল্লুল হাকিমের দুর্নীতি নিয়ে শত পৃষ্ঠার অভিযোগ জমা হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনেও (দুদক)। দুদক বিষয়টি আমলে নেওয়ার জন্য যাচাই বাছাই কমিটিতে পাঠিয়েছে।
গত শনিবার (২৫ জুলাই) দেশ রূপান্তরের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমপি জিল্লুল হাকিমের এসব অপকর্মের চিত্র।
তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জিল্লুল হাকিম গত শুক্রবার মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আগেও বহু লেখালেখি হয়েছে। সেগুলো তদন্তও হয়েছে। যার কোনোটিরও সত্যতা পাওয়া যায়নি। আমার শক্তি আমার এলাকার জনগণের আস্থা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আস্থা। আমার এলাকায় কারও আসতে বাধা নেই, সবার জন্য উন্মুক্ত। কেউ যদি অপকর্ম ও অপরাধ করে বেড়ায় সে এলাকার মানুষের রোষানলে পড়ার ভয়ে এলাকায় না আসে তাহলে আমার কী করার আছে। ’
রাজবাড়ীর কালুখালী-পাংশা-বালিয়াকান্দির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ গত ১৯ ফেব্রুয়ারি জমা হয় দুদকে।
এতে বলা হয়, দুই চাকার মোটরসাইকেল নিয়ে চলাফেরা করা জিল্লুল হাকিম ১১ বছরে কমপক্ষে ১ হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তার নামে-বেনামে রয়েছে সম্পদের পাহাড়।

দুদকে জমা হওয়া অভিযোগ অনুযায়ী জেলা পরিষদের জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ, সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি দখল, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় নিয়োগ বাণিজ্য, সাব রেজিস্ট্রি অফিসে কমিশন বাণিজ্য, টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, পদ্মা ও গড়াই নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনসহ নানা অপকৌশলে তিনি এসব সম্পদের মালিক হয়েছেন। ঢাকার উত্তরা, বনানী ও রাজবাড়ী শহরে তিনি বিলাসবহুল বাড়ি ও রাজবাড়ীর তিন উপজেলায় ৫০০ বিঘার বেশি জমির মালিক হয়েছেন। তার রয়েছে ল্যান্ডক্রুজার, প্রাডো ভি-৮সহ ৬টি বিলাসবহুল গাড়ি। অথচ ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের আগে তিনি দুই চাকার মোটরসাইকেল ব্যবহার করতেন।

দুদকে জমা হওয়া অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, অনিয়মের মাধ্যমে আয় করা টাকায় তিনি উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরের ৮/এ সড়কে ১০ তলা বিলাসবহুল বাড়ি করেছেন। ওই বাড়ির সামনে রয়েছে তার ৫ কাঠার ওপর আরও একটি বাড়ি। বনানী সুপার মার্কেটের পেছনে অরচার্ড হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে তার। বাড়ি আছে সিঙ্গাপুরেও। পাংশার স্টেশন বাজারের সামনে নারায়ণপুর মৌজায় ৩৩ শতাংশ জমির ওপর চারতলা মার্কেট তৈরি করেছেন। রাজবাড়ী শহরের বড়পুল এলাকায় ৪২ শতাংশ জমিসহ বসুন্ধরা সিনেমা হল স্ত্রী শাহিদা হাকিমের নামে কিনেছেন ৭ কোটি টাকায়। সেই জমির দেয়াল করেছেন সওজের জমির ওপর। প্রভাব বিস্তার করে সওজের জমিতে কাজ করতে দিচ্ছেন না।
এ বিষয়ে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী সাদ্দাম হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সমস্যাটি আগের, এখন কোনো সমস্যা নেই।

কালুখালী উপজেলার মহিমশাহী চাঁদপুর মৌজায় ৩ কোটি টাকায় ৬ বিঘা জমি কিনেছেন জিল্লুল হাকিম নিজ নামে। বালিয়াকান্দির দেওকোল এলাকায় নিজ পরিবারের সদস্যদের নামে কিনেছেন প্রায় ১০০ বিঘা জমি। মোটা অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করেছেন নিজের ছোট ভাই লুৎফুল হাকিম মনিরের নামে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, পাংশা উপজেলার জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর বাউন্ডারি দেয়াল ভেঙে ১৩ শতাংশ জমি ও সংখ্যালঘু ২০টি পরিবারের ২০ শতাংশ জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেছেন। এসব দখলে বাধা দিয়ে ২০১২ সালে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আকবর আলী মর্জি আদালতে মামলা করেন। আদালত নিষেধাজ্ঞা দিলে তা উপেক্ষা করেই মার্কেট বানান জিল্লুল হাকিম। এ ছাড়া অভিযোগে বলা হয়েছে, বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নে ১২টি সংখ্যালঘু পরিবারের ১০৭ বিঘা জমি দখল করে নিয়েছেন এমপি জিল্লুল হাকিমের স্ত্রী শাহিদা হাকিম, ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুল। ভয়ভীতি দেখিয়ে নামমাত্র মূল্যে এসব জমি লিখে নেন তারা।

অভিযোগের বিবরণ অনুযায়ী জিল্লুল হাকিমের ছোট ভাই নাসের হাকিম জাপান প্রবাসী। তার মাধ্যমে জাপান নেওয়ার কথা বলে এলাকার তিন শতাধিক যুবকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। বহু লোকের কাছ থেকে ৩-৪ লাখ টাকা করে নিলেও জাপান পাঠিয়েছেন মাত্র ১০ জনকে। বাকি টাকা ভুক্তভোগীদের ফেরত দেননি।

সাংসদ জিল্লুল হাকিম ক্ষমতার অপব্যবহার করে কালুখালী উপজেলা পরিষদের সরকারি গাড়ির চালক রবিউল আলম খানকে নিজের ব্যক্তিগত গাড়ির চালক হিসেবে ব্যবহার করেন। পাঁচ বছর ধরে রবিউল তার গাড়ি চালালেও বেতন নেন কালুখালী উপজেলা পরিষদ থেকে। উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে কয়েকবার তাকে জানালেও তিনি গাড়িচালককে ছেড়ে দেননি।

এছাড়া পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে দৈনিক ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। পাংশার হাসাসপুর ইউনিয়নের চর আফ্রা, কালুখালীর গৌতমপুর, হরিণবাড়িয়া এলাকার ৫০টি স্থান থেকে সাংসদের ছেলে আশিক ও তার আশ্রিত লোকজন বালু তোলার কাজ করে। এছাড়া এলাকার বিভিন্ন স্কুলে নৈশপ্রহরী কাম দপ্তরি নিয়োগ দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় ১২ কোটি টাকা। এভাবে আরও বহু অভিযোগ জমা হয়েছে সাংসদ জিল্লুল হাকিমের বিরুদ্ধে।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী সাইফুল ইসলামের করা অভিযোগে বলা হয়, বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। সাংসদ তার ছেলে আশিক মাহমুদ ওরফে মিতুল হাকিমকে বিজয়ী করতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করেন। সাইফুলকে ডেকে নিয়ে সাংসদ মামলা ও এলাকাছাড়া করার হুমকি দেন। এমপির ছেলে মিতুল হাকিমের আশ্রিত বাহিনী আওয়ামী লীগ নেতা সারওয়াইলের রাকিবুল ইসলাম আকমল, বোয়ালিয়ার আবুল হাসেম, কালিকাপুরের আজিজুল ইসলাম, রতনদিয়ার আসাদ, মদাপুরের ছাত্রলীগ নেতা শুকান্ত, মাঝবাড়ির আদম আলীসহ বহু নেতাকর্মীকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়। এমপির বাসার কেয়ারটেকার মিজানুর রহমান মজনু প্রকাশ্যে এলাকার লোকজনকে হুমকি দিয়ে বেড়ায়। এভাবে বেশ কিছু অভিযোগ তুলে ধরেন কাজী সাইফুল ইসলাম।

সাংসদ জিল্লুল হাকিম ও তার আশ্রিত বাহিনীর হামলায় এই পর্যন্ত খুন হয়েছেন পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা নাদের মুন্সী, আওয়ামী লীগ কর্মী ওহাব ও পিকুল। এছাড়া হামলার শিকার ও নির্যাতনে এলাকা ছাড়া হয়েছেন যেসব নেতাকর্মী তার একটি তালিকা কাছে এসেছে এই প্রতিবেদকের হাতে। তালিকায় রয়েছে পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি দিবালোক কুন্ডু জীবন, সহসম্পাদক নজরুল ইসলাম, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক আতাউল্লাহ মাস্টার, উপজেলা যুবলীগ সদস্য তপন রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল কালাম আজাদ, পাংশা পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাদের মন্ডল, ছাত্রলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম সবুজ,  জাহিদুর রহমান হিমু, মাহির বিশ্বাস, মেহেদী হাসান, বোয়ালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসেম মোল্লা, সারওয়াইলের রফিকুল ইসলাম আকমল, মদাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম মৃধা, সারওয়াইলের ছাত্রলীগ নেতা মনিরুল ইসলাম রুবেল, আওয়ামী লীগ নেতা আক্কাস আলী, ফিরোজ, কালুখালীর যুবলীগ নেতা লাভলু মেম্বার, কলিমুদ্দীন মেম্বার, ছাত্রলীগের মনির হোসেন, যুবলীগ নেতা মোস্তফা মেম্বার, রায়হান উদ্দিন আজাদ, শাহীন বিশ্বাস, আহম্মদ আলী বাদশা, যুবলীগ নেতা মিজান মেম্বার, আওয়ামী লীগ নেতা কাজী হাসান বাবুল ও শহীদ মেম্বারসহ অনেকে।

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) নেতা ডা. ইকবাল আর্সলানের বাড়ি পাংশায়। তিনিও সাংসদ বাহিনীর হামলার শিকার হন। তিনি সাংসদ আশ্রিত ক্যাডার বাহিনীর ভয়ে এলাকায় যেতে পারেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাজবাড়ীর পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, সেখানে কোনো ভদ্র মানুষ রাজনীতি করার মতো অবস্থায় নেই। রাজবাড়ীর কালুখালী, পাংশা ও বালিয়াকান্দি বাদ দিয়েই সারা দেশে শুদ্ধি অভিযান চলছে। সাংসদের আশ্রিত মাস্তান বাহিনী এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। পুলিশ প্রশাসনও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। প্রশাসনকে তিনি বলে দেন কার নামে মামলা নেবে, কারটা নেবে না। সব মিলিয়ে রাজবাড়ীর এই তিন উপজেলায় যেন সাংসদের একক শাসন চলছে। আমি এ বিষয়ে বিভিন্ন স্থানে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। ’

স্বাচিপের এই নেতা আরও বলেন, রাজবাড়ীতে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের কোনো স্থান নেই। যারা বিএনপি ও চারদলীয় সরকারের আমলে হামলা, মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তারাই এখন সাংসদ আশ্রিত মাস্তান বাহিনীর হামলা-মামলার শিকার। তার বাহিনীর কাছে পুরো এলাকার মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছেন।

এছাড়া সাংসদ আশ্রিত মাস্তানদের ভয়ে এলাকাছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক এবং সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট ফরহাদ আহমেদ।
তিনি গত শুক্রবার বলেন, এলাকার পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, এখন এমপির সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনীর ভয়ে কোনো ভদ্র মানুষের রাজবাড়ীতে যাওয়ার উপায় নেই। সাংসদ ও তার ছেলের আশ্রিত মাস্তানরা আওয়ামী লীগের নেতা, জনপ্রতিনিধিসহ বহু মানুষকে মারধর করে পঙ্গু করে দিয়েছে; হাত-পা ভেঙে দিয়েছে। আমরা এসবের প্রতিবাদ করে রোষানলের শিকার হয়েছি।

কালুখালী উপজেলা আ.লীগের সভাপতি কাজী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘রাজবাড়ীতে যেন কবরের আজাব চলছে। কেউ সাংসদের বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারেন না। তার বাহিনী আওয়ামী লীগের প্রায় ৩০০ নেতাকর্মীকে মারধর করে পঙ্গু করে দিয়েছে। কেউ এক গাড়ি মাটি বিক্রি করলেও এমপির লোকজনকে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদাবাজি চলে হাটে, ঘাটে সর্বত্র।

সাংসদ বাহিনীর হামলা ও হুমকির শিকার হয়ে এলাকায যেতে পারেন না কালুখালী উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা টিপু, কালুখালীর কৃষক লীগ নেতা নূরে আলম সিদ্দিকী (হক), কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলম, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, মাঝবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী শফিকুল ইসলাম, কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক রজব আলীসহ অনেকে।

এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতা, আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগসহ অঙ্গ-সংগঠনের বহু নেতাকর্মী সাংসদ আশ্রিত বাহিনীর হয়রানিমূলক মামলার শিকার হয়েছেন। তাদের অনেকে পুলিশি হয়রানি ও গ্রেপ্তারের ভয়ে এলাকায় যেতে পারেন না।

সাংসদ জিল্লুল হাকিমের বক্তব্য : অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাংসদ জিল্লুল হাকিম বলেন, ‘আমার এলাকায় কারও আসতে কোনো ধরনের বাধা নেই। কেউ যদি অসামাজিক ও অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত থাকে তাহলে তারা নিজেরাই ভয়ে এলাকায় আসে না। এতে আমার করার কী আছে। ’

দুদকে জমা হওয়া অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো ধরনের টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বা কোনো সিন্ডিকেট আমার এখানে নেই। স্কুল-কলেজে টাকা পয়সা নিয়ে নিয়োগের আমি চরম বিরোধী। ’

উপজেলা পরিষদের গাড়িচালককে ব্যক্তিগত গাড়িচালক হিসেবে নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি উপজেলা পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা। আমি উপজেলা পরিষদের গাড়িচালক নিতেই পারি। আমার ব্যক্তিগত গাড়িচালক আছে তিন-চারজন। মাঝে মাঝে প্রয়োজন হলে আমি উপজেলা পরিষদের গাড়িচালক নেই। এতে আমি দোষের কিছু দেখি না। ’

সংখ্যালঘুদের জমি দখল বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সংরক্ষণ ছাড়া আমি কিছু করি না। কারও জমিজমা আত্মসাৎ করা বা দখল করে নেওয়া এমন কোনো ঘটনা এলাকায় নেই। কিছু বাইরের লোক সবসময় আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে। তাদের উদ্দেশ্য আমার অজানা। আমার শক্তি আমার এলাকার জনগণের আস্থা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থা। যারা এসব কাজ করছে তাদের একটা কথাও সত্য নয়। ’

দৈন্যদশা থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি ৬ বার জেলার সেরা করদাতা নির্বাচিত হয়েছি। আমার ব্যবসার সবকিছুই স্বচ্ছতার সঙ্গে করি। ’

সূত্র: দেশ রূপান্তর




মনোহরগঞ্জের নাথের পেটুয়া ইউনিয়ন এলডিপি কর্মী ফাহিমের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ: নিরাপত্তাহীনতায় পরিবার

লাকসামে টানা ৪০ দিন নামাজ পড়ে সাইকেল পেল ১৯ শিশু-কিশোর

লাকসামে নেসলে বিডি’র গোডাউনে অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

লাকসামের সাখাওয়াত হোসাইন মামুন জেসিআই বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’র চেয়ারম্যান নির্বাচিত

কুমিল্লায় নিখোঁজের তিন দিনেও সন্ধান মিলেনি স্কুল ছাত্র ইয়াসিন আরাফাতের 

লাকসামের আজগরা হাজী আলতাপ আলী হাইস্কুল এণ্ড কলেজের এসএসসি পরিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা

কিছু বিপদগামী নেতা দলের ভেতর অন্তঃকোন্দল সৃষ্টি করার পায়তারা করছে: আজগরা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল

এএসপি আনিসুল করিমের কবরে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের শ্রদ্ধাঞ্জলি

অনলাইনে কুমিল্লা সরকারি সিটি কলেজে একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা শুরু

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

নাঙ্গলকোটে পুলিশের গুলিতে স্কুুল ছাত্রসহ ২ জন গুলিবিদ্ধ: এএসআই আবদুর রহিমের কর্মকান্ডে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ

লাকসামে তিনজনের শরীরে করোনার উপসর্গ : আইইডিসিআর-এ নমুনা প্রেরণ

প্রবাসীদের নিয়ে নাঙ্গলকোটের ইউপি মেম্বার জুলাসের কটুক্তি: দেশ-বিদেশে প্রতিবাদের ঝড় 

লাকসামের মুদাফরগঞ্জ বাজারে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী খুন

নাঙ্গলকোটে বিএনপি অফিসে তালা দিলেন আওয়ামী লীগ নেতা: অভিযোগ বিএনপি নেতার

নাঙ্গলকোটে চাচার সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে ভাতিজার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার!

লাকসামের জনপ্রিয় গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. লতিফা আহমদ লতা করোনায় মারা যাওয়ার গুজব ছড়ানো হলেও শতভাগ সুস্থ

লাকসামের সেই দুই সহোদরের পরিবারের নতুন ৬ জন করোনায় আক্রান্ত : সর্বমোট আক্রান্ত ১০

স্ত্রী ও সন্তানের স্বীকৃতি পেতে ডেনমার্ক থেকে নাঙ্গলকোটে এলেন এক নারী

নাঙ্গলকোটে আট বছর বয়সী চাচাতো বোনকে মুখ চেপে ধর্ষণ করতো আপন জেঠাতো ভাই