ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর দুই দিন পর আত্মগোপনে চলে যান ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। তবে আগে থেকেই তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও তথ্য-প্রমাণ র্যাবের হাতে ছিল। তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে যান।
রোববার দুপুরে র্যাবের সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আইন প্রয়োগকারী সংস্থাটির মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হয়। অভিযানে ক্যাসিনোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের উঠে নাম আসে। অভিযান শুরুর দ্বিতীয় দিনের মাথায় তিনি আত্মগোপনে চলে যান। তবে আমরা নজরদারি করছিলাম। এর ফলে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। তার বিরুদ্ধে ক্যাসিনো ব্যবসা, চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজির সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ আছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র্যাবের প্রধান বলেন, কে কোন দলের তা দেখার বিষয় না। আমরা শুধু অপরাধীকে চিনি। যে অপরাধ করবে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে। দেশ থেকে নির্মূল করা হবে ক্যাসিনো।
রোববার ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তারের পর থেকেই সম্রাটকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে র্যাব। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর কাকরাইলে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান চালাচ্ছে র্যাব।