শিরোনাম
  মনোহরগঞ্জের নাথের পেটুয়া ইউনিয়ন এলডিপি কর্মী ফাহিমের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ: নিরাপত্তাহীনতায় পরিবার       লাকসামে টানা ৪০ দিন নামাজ পড়ে সাইকেল পেল ১৯ শিশু-কিশোর       লাকসামে নেসলে বিডি’র গোডাউনে অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি       লাকসামের সাখাওয়াত হোসাইন মামুন জেসিআই বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’র চেয়ারম্যান নির্বাচিত       কুমিল্লায় নিখোঁজের তিন দিনেও সন্ধান মিলেনি স্কুল ছাত্র ইয়াসিন আরাফাতের        লাকসামের আজগরা হাজী আলতাপ আলী হাইস্কুল এণ্ড কলেজের এসএসসি পরিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা       কিছু বিপদগামী নেতা দলের ভেতর অন্তঃকোন্দল সৃষ্টি করার পায়তারা করছে: আজগরা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল       এএসপি আনিসুল করিমের কবরে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের শ্রদ্ধাঞ্জলি       অনলাইনে কুমিল্লা সরকারি সিটি কলেজে একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা শুরু       প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ    


ওসমান গনি: 
মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে, মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই। এই সূর্যকরে এই পুষ্পিত কাননে জীবন্ত হৃদয়-মাঝে যদি স্থান পাই !
কবিগুরু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাণ কবিতার মাঝেই আমরা দেখিতে পাই এই সুন্দর পৃথিবীতে মানুষের বেচে থাকার কত আকুতি। বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশ সহ বিশ্ব করোনাে ভাইরাস আতংকে দিশেহারা মানবজাতি। কে কি করবে, কিভাবে বাচবে, কিভাবে এ প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস নির্মূল করবে তার জন্য দিশেহারা হয়ে পড়ছে সারাবিশ্ব। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের নামকরা বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকরা একের পর এক গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে কি করে করোনা ভাইরাসের হাত থেকে মানবজাতি কে রক্ষা করা যাবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন ফলপ্রসূ ফলাফলে পৌছতে পারে নি। এ ভাইরাসটির জন্ম প্রথম চীনের উহান রাজ্যে আক্রমণ করলেও পরে ধীরে ধীরে ইটালি, স্পেন, সৌদিআরব ও আমাদের বাংলাদেশ সহ বর্তমানে ২০০টির মতো দেশে আক্রমণ করে। আক্রমণ হওয়া কিছু দেশ প্রথমে এ ভাইরাসটির প্রতি অবহেলা করছিল। তেমন কোন গুরুত্ব দেয় নি। যার ফলাফল আজ কে সেই দেশের সকল শ্রেনিপেশার মানুষ ভোগ করছে। তাদের দেশে আজ লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ মারা যাচ্ছে। এখানে কবির ভাষায় বলতে হয় – একটু খানি ভূলের তরে অনেক বিপদ ঘটে – এ কথাটি ই আজ সেই দেশের জন্য বাস্তব ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অসচেতনার জন্য ই আজ তারা পাগল হয়ে গেছে। আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে যতটুকু জানতে পারছি, অনেক দেশের সরকার সে দেশের পরিস্থিতি নিয়ত্রন করতে না পেরে এখন তারা আকাশের দিকে মানে আল্লাহর দিকে তাকিয়ে আছে। মহান আল্লাহ যদি তাদের প্রতি দয়া হয় তাহলে তাদের বেচে থাকার একমাত্র পথ এছাড়া আর কোন পথ নাই।আমাদের বাংলাদেশে এ ভাইরাস টি গত মার্চ মাসের ৮ তারিখে প্রথম আক্রমণ করে। তখন থেকেই আমাদের সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধের লক্ষ্যে জোড়ালো পদক্ষেপ নিতে সচেতন হয়ে যান এবং দেশের সকল শ্রেনিপেশার মানুষকে সচেতন হতে আহবান জানান। আস্তে আস্তে যখন এ ভাইরাসটির প্রসার লাভ করতে শুরু করে তখন তখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে রাজধানী ঢাকা হতে শুরু করে দেশের তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সকল নাগরিক কে সরকার ঘোষিত সকল নির্দেশনা মেনে চলতে আহবান জানান। দেশের বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ের গ্রামের প্রতিটি বাড়ির ঘরের প্রত্যেক সদস্য কে ঘর থেকে বিনা প্রয়োজনে বের না হতে নিষেধ করেন। প্রত্যেক মানুষকে মাস্ক,হ্যান্ডগ্লাভস ব্যবহারের নির্দেশ দেন। দেশের যোগাযোগব্যবস্থা বিছিন্ন করার জন্য গণপরিবহন নিষিদ্ধ করেন, গ্যাস, বিদ্যুতের বিল, এনজিও`র কিস্তি তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন, হাট বাজার বন্ধ ঘোষনা করেন। (নির্দিষ্ট কিছু দোকান ছাড়া), ব্যাংক, বীমা অফিস আদালত বন্ধ ঘোষনা করেন। মানুষ তিন ফুট অর্থাৎ ২ হাত দূরত্ব বজায় রেখে চলার নির্দেশ দেন। এরপরও দেশের মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব বোধ করে দেশের মানুষকে সচেতনতার জন্য সেনাবাহিনী নিয়োজিত করেন। প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনা পাওয়ার পর পুলিশ, সেনাবাহিনী মাঠে টহল দিতে নেমে যান। দেশের প্রত্যন্তঞ্চলে জনপ্রতিনিধিদের স্ব স্ব এলাকার জনগনের সেবায় নিয়োজিত হওয়ার জন্য আহবান জানান। তারা প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশ পেয়ে সবাই নিজের জীবন বাজী রেখে মানুষের জন্য কাজ করছেন। আর এই সুযোগে দেশের কিছু সংস্থা, কোম্পনী সরকারের আদেশ অমান্য করে তারা তাদের কার্যক্ষম চালিয়ে যাচ্ছে। এসব কোম্পানীর লোকজন অহরহ মানুষের বাড়ি বাড়ি, দোকানপাটে ঘুরে ঘরে বেড়াচ্ছে। যার কারনে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ তাদের কারন ব্যর্থ হচ্ছে। ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা ভাইরাস তৃণমূলের মানুষের মধ্যেও। তখন হাজার চেষ্টা করলেও আর নিয়ত্রন করা সম্ভব হবে না। বিদেশের চেয়েও আরো ভয়ণ্কর হবে আমাদের দেশের পরিস্থিতি। শুধু আমাদের অবহেলা আর অসচেতনতার কারনে।
আজ ৫ এপ্রিল দেশের গার্মেন্টস গুলো খুলছিল। সারাদেশের গার্মেন্টস কর্মীরা অনেক কষ্ট করে ঢাকায় এলো আবার ১১এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষনা করা হলো। কেমন এমন হলো?  তারা অসহায় বলে। এ ছুটিটা একদিন আগে ঘোষনা করলে তো তাদের এত কষ্ট হতো না।
যেখানে দেশি বিদেশীরা আশংকা করছেন করোনা ভাইরাসের কারনে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মূখীন সেখানে এটাকে নিয়ে আমরা অবহেলা করছি। এ কারন কি? দেশবাসী জানতে চায়। মানুষ বেচে থাকার জন্য কর্ম করবে কিন্তু কর্মের জন্য বেচে থাকে না। এ সুন্দর পৃথিবীতে সবাই বেচে থাকতে চায়, কেউ মরতে চায় না। কেন দেশের নীরিহ মানুষ কে কর্মের জন্য ডেকে এনে মৃত্যুর পথে ঠেলে দেয়া হচ্ছে? তাদের অপরাধ কি? তাদের অপরাধ হলো তারা অসহায় আর গরীব বলে তাদের প্রতি এমন আচরণ করা হচ্ছে।  যেটা মানুষের মানবতার মধ্যে পড়ে না। এটা মানবতা লংঘন। আজ কে কোথায় দেশের মানবতাবাদী সংগঠেনের লোকেরা?  তারা কি এসব দেখেন না। দেশের এই দুর্যোগ মুহুর্তে আপনারা চোখ মুখ বন্ধ না রেখে দেশের মানুষের জন্য কাজ করুন। করোনা ভাইরাস যদি ছড়িয়ে আপনরাও ছাড় পাবে না। আপনারা দেখছেন বিশ্বের বিভিন্ন শক্তিধর দেশগুলো ও এর আক্রমন থেকে রক্ষা পায়নি। সমাজের ও দেশের অসহায় মানুষের পক্ষে কথা বলুন।
এক কথায় এখন যারা মালিকদের কর্ম করেন তারা তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করেন। তাদের মধ্যে ও করোনাভাইরাস আতংক বিরাজ করছে। তারা একটু বেশি ভয়ে আছে। কারন তারা গরীব, তাদের পর্যাপ্ত পরিমান টাকা পয়সা নেই যে, রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসা করাবেন। কিন্তু তাদের কে যারা কর্মে খাটায় তাদের ফ্যাক্টরীতে গেলে দেখবেন মালিক সাহেবরা করোনাভাইরাসের কারনে ঘর থেকে বের হন না। তাদের মধ্যে ভয় বিরাজ করছে। যদি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তারা মনে করে তাদের যথেষ্ট টাকা পয়সা আছে। তারা ঘর থেকে বের না হলেও তাদের খাদ্যের অভাব হবে না। কিন্তু নিরীহ মানুষ তাদের নিকট কর্ম না করলে না খেয়ে মারা যাবে। তাদের জীবনের বড় দাম, শ্রমিকের জীবন তাদের কাছে কিছু ই না।
তাদের কাছে তাদের জীবন ও অনেক বড়। এই দুর্যোগ মুহুর্তে দেশের করোনাভাইরাসের কারনে কর্মহীন মানুষকে সাহার্থে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠেনের লোকেরা এগিয়ে আসছে। তাছাড়া দেশের প্রতিটি এলাকার বিত্তবান লোকেরা স্ব স্ব এলাকায় প্রচুর পরিমানে সাহায্য সহযোগীতা করছে। সরকারী চাকরিজীবীরাও তারা যে যেখানে কর্মরত অবস্থায় আছে সেখানকার হতদরিদ্র মানুষের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিচ্ছে। মধ্যবিত্ত লোকদের মাঝে ও গোপনে গোপনে তাদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিচ্ছ। সাময়িক সময়ের জন্য হলেও আল্লাহর রহমতে কোন মানুষ কমপক্ষে না খেয়ে মারা যাবে না। তাহলে সাধারণ মানুষকে একটু নিরাপদে থাকতে দিন।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট
Email- ganipress@@yahoo.com




মনোহরগঞ্জের নাথের পেটুয়া ইউনিয়ন এলডিপি কর্মী ফাহিমের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ: নিরাপত্তাহীনতায় পরিবার

লাকসামে টানা ৪০ দিন নামাজ পড়ে সাইকেল পেল ১৯ শিশু-কিশোর

লাকসামে নেসলে বিডি’র গোডাউনে অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

লাকসামের সাখাওয়াত হোসাইন মামুন জেসিআই বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’র চেয়ারম্যান নির্বাচিত

কুমিল্লায় নিখোঁজের তিন দিনেও সন্ধান মিলেনি স্কুল ছাত্র ইয়াসিন আরাফাতের 

লাকসামের আজগরা হাজী আলতাপ আলী হাইস্কুল এণ্ড কলেজের এসএসসি পরিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা

কিছু বিপদগামী নেতা দলের ভেতর অন্তঃকোন্দল সৃষ্টি করার পায়তারা করছে: আজগরা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল

এএসপি আনিসুল করিমের কবরে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের শ্রদ্ধাঞ্জলি

অনলাইনে কুমিল্লা সরকারি সিটি কলেজে একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা শুরু

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

নাঙ্গলকোটে পুলিশের গুলিতে স্কুুল ছাত্রসহ ২ জন গুলিবিদ্ধ: এএসআই আবদুর রহিমের কর্মকান্ডে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ

লাকসামে তিনজনের শরীরে করোনার উপসর্গ : আইইডিসিআর-এ নমুনা প্রেরণ

প্রবাসীদের নিয়ে নাঙ্গলকোটের ইউপি মেম্বার জুলাসের কটুক্তি: দেশ-বিদেশে প্রতিবাদের ঝড় 

লাকসামের মুদাফরগঞ্জ বাজারে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী খুন

নাঙ্গলকোটে বিএনপি অফিসে তালা দিলেন আওয়ামী লীগ নেতা: অভিযোগ বিএনপি নেতার

নাঙ্গলকোটে চাচার সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে ভাতিজার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার!

লাকসামের জনপ্রিয় গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. লতিফা আহমদ লতা করোনায় মারা যাওয়ার গুজব ছড়ানো হলেও শতভাগ সুস্থ

লাকসামের সেই দুই সহোদরের পরিবারের নতুন ৬ জন করোনায় আক্রান্ত : সর্বমোট আক্রান্ত ১০

স্ত্রী ও সন্তানের স্বীকৃতি পেতে ডেনমার্ক থেকে নাঙ্গলকোটে এলেন এক নারী

নাঙ্গলকোটে আট বছর বয়সী চাচাতো বোনকে মুখ চেপে ধর্ষণ করতো আপন জেঠাতো ভাই