রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশা (১৪) হত্যা মামলার রায় পিছিয়ে আগামী ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার (৬ অক্টোবর) রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু কাশিমপুর কারাগার থেকে মামলার একমাত্র আসামি ওবায়দুলকে আদালতে উপস্থিত করেনি পুলিশ। এজন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ রায় ঘোষণার জন্য ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
১১ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, পাঁচ-ছয় মাস আগে রিশা ও তার মা তানিয়া ইস্টার্ন মল্লিকা মার্কেটে বৈশাখী টেইলার্সে কাপড় সেলাই করাতে যান। এ সময় তার মা ওই দোকানের রসিদের রিসিভ কপিতে ফোন নম্বর দিয়ে আসেন। ওই টেইলার্সের কর্মচারী ওবায়দুল রিসিভ কপি থেকে ফোন নম্বর নিয়ে রিশাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করতেন। রিশার মা এ বিষয়ে ওবায়দুলকে সতর্ক করেন।
২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট রিশা ও তার বন্ধু মুনতারিফ রহমান রাফি পরীক্ষা শেষে কাকরাইল ওভারব্রিজ পার হওয়ার সময় ওবায়দুল রিশাকে আবারও প্রেমের প্রস্তাব দেন। রিশা তা প্রত্যাখ্যান করলে ওবায়দুল তাকে ছুরিকাঘাত করেন।
পরে রক্তাক্ত অবস্থায় রিশাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ আগস্ট রিশা মারা যায়।
ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ২৪ আগস্ট রিশার মা তানিয়া হোসেন বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি মামলা করেন। পরে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর ওবায়দুলকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলী হোসেন।
২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকা মহানগর অষ্টম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবুল কাশেম আসামি ওবায়দুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ২৬ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ২১ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।