দেশের আটটি উপজেলা পরিষদ, দুটি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদে গতকাল সোমবার (১৪ অক্টোবর) সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া ৮৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন পদে এদিন উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত শুরু হয় সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
৮৬ টি ইউনিয়নের মতোই সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মীরপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে ৭নং ওয়ার্ডে মাহমুদ আলম নামের এক প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন। কিন্তু সেখানে তিনি কোনো ভোট পাননি। অর্থাৎ, নিজের ভোটটিও তাঁর বাক্সে পড়েনি। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণাকালে মাহমুদ আলম (মোরগ প্রতীক) কোনো ভোট পাননি বলে ঘোষণা দেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান। এ ওয়ার্ডে সাতজন প্রার্থী ইউপি সদস্য পদে অংশ নেন। ফলাফলে দেখা যায়, আবদুল ওয়াব (ভ্যানগাড়ি) ২৮৫ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রফিক উদ্দিন (টিউবওয়েল) ২৩৬ ভোট পান।
৭নং ওয়ার্ড ও মীরপুর গ্রামের বাসিন্দা সমাজকর্মী মাসুক মিয়া বলেন, প্রার্থী মাহমুদ আলম তাঁর নিজের, তাঁর এজেন্টের ও পরিবারের কারো কোনো ভোট পাননি; এটা হাস্যকর। দীর্ঘ ১৬ বছর পর নির্বাচন হয়েছে আর এ নির্বাচনে এক প্রার্থী কোনো ভোট পাননি, এটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রার্থী মাহমুদ আলমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান আজ মঙ্গলবার বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনে প্রার্থী হতে বিশেষ কিছু লাগে না। যে কেউ প্রার্থী হতে পারেন। মাহমুদ আলম ৭নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে একজন বৈধ প্রার্থী ছিলেন। কেন কোনো ভোট পাননি, সেটা তিনি বলতে পারবেন না বলে তিনি জানান।