ফারুক আল শারাহ:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লামইয়া সাইফুল দায়িত্ব গ্রহণের বর্ষপূতিতে শ্রদ্ধা-ভালোবাসা ও ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন। কর্মচঞ্চল ও জনবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারি সহ উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন।
২০১৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে লামইয়া সাইফুল যোগদান পর পাল্টে যেতে থাকে নাঙ্গলকোটের চিত্র। মেধা, প্রজ্ঞায় তিনি নিজের সরকারি দপ্তরকে জনবান্ধব করে তুলেছেন। মানবিক গুণাবলীর কারণে তিনি সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের নিকট প্রশংসিত হয়ে উঠেছেন। তাঁর দপ্তর পরিণত হয়েছে সমস্যাগ্রস্ত মানুষের আস্থার ঠিকানা হিসেবে। কেউ কোন সমস্যা নিয়ে আসলে আন্তরিকভাবে শুনে মুহুর্তেই সমাধান দিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতিতে মোকাবেলা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তিনি সাফল্য অর্জন করেছেন। জনবান্ধব ও প্রজ্ঞাবান ইউএনও হিসেবে অর্জন করেছেন ব্যাপক সুনাম।
ধারাবাহিক সাফল্যের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে উপজেলা রাজস্ব প্রশাসনের উদ্যোগে কেককাটা উৎসবের আয়োজন করা হয়। এতে ফুলে ফুলে সিক্ত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লামইয়া সাইফুল। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সহকারি কমিশনার (ভূমি) মিল্টন বিশ্বাস ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বিজয় কুমার হালদার সহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) মিল্টন বিশ্বাস জানান, নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লামইয়া সাইফুল তাঁর যোগ্যতা, দক্ষতা ও মানবিকতায় প্রশাসনকে আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক হিসেবে রূপান্তরিত করেছেন। তাঁর দপ্তরটি তৃণমুলের সমস্যাগ্রস্ত মানুষের সমস্যা সমাধানের ঠিকানায় পরিণত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, জাতীয় দিবস সমূহ ব্যতিক্রমী আয়োজনে পালনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাফল্যের কথা তুলে ধরেন তিনি।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লামইয়া সাইফুল বলেন, আমি প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারি হিসেবে কাজ করছি। আমার উপর সরকারের অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল মহোদয় সার্বিক নির্দেশনা দিচ্ছেন।
গত এক বছরের মুল্যায়ন সম্পকে তিনি বলেন, আমি স্থানীয় সকল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারি, সাংবাদিক, শিক্ষক সহ সর্বস্তরের মানুষের যে আন্তরিক সহযোগিতা ও সমর্থন পেয়েছি তা আমাকে প্রেরণা যুগিয়েছে। অতীতের মতো ভবিষ্যতেও সকলের ভালোবাসা ও সহযোগিতা নিয়ে কাজ করে যেতে চাই।