দলীয় পদ ছাড়তে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ চার কেন্দ্রীয় নেতা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
গত শুক্রবার গঠিত সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের কমিটিতে নির্যাতিত এবং ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হয়নি দাবি করে রোববার সকালে তারা এ পদত্যাগপত্র জমা দেন।
তবে দলের পক্ষ থেকে পদত্যাগে ইচ্ছুক এ চার নেতার কাছে কিছুদিন সময় চাওয়া হয়েছে। একই সাথে যুবদলের কমিটির বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ বিষয়ে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সকালে মহাসচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। তিনি কিছুদিন সময় চেয়েছেন। এখন আমরা দলের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।’
সিসিক মেয়র আরিফ বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য। তিনি ছাড়াও অন্য তিনজন হলেন- দলের কেন্দ্রীয় সহ-ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী এবং কেন্দ্রীয় সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান জামান।
প্রায় দেড়যুগ পর শুক্রবার কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান পাপলুকে আহ্বায়ক করে ২৯ সদস্যের যুবদলের জেলা কমিটি ও সাবেক ছাত্রনেতা নজিবুর রহমান নজিবকে আহ্বায়ক করে ২৭ সদস্যের মহানগর কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটি ঘোষণার পরপরই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিএনপির একাংশের নেতারা।
তারা বলছেন, স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সাথে আলোচনা না করেই এবারের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আর এতে ত্যাগী নেতাদের কোন পদই দেয়া হয়নি। যারা নেতৃত্বে এসেছেন, তারাও বিতর্কিত। এ কারণে এ কমিটি তারা মেনে নিতে পারছেন না।
এরপর রাতেই নগরীর কুমারপাড়ায় বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় এ তিন নেতাসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা। ওই বৈঠকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন আরিফসহ তিনজন। এছাড়া তাদের সাথে একাত্ম হয়ে পদত্যাগ করতে চান বর্তমানে লন্ডনে অবস্থানরত অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান জামান।