নারী প্রগতি সংঘে (বিএনপিএস) উদ্যোগে ‘গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে আলোচকরা বলেছেন, বর্তমানে নারীর নিরাপত্তার জন্য মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন। বর্তমান অবস্থার কারণে ক্ষমতায়িত নারীদেরও ভয়ের মধ্যে বসবাস করতে হয়।
শনিবার শিশু কল্যাণ পরিষদের কনফারেন্স রুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক ও নারী নেত্রী রোকেয়া কবীর। বক্তব্য দেন সিপিবি সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের নেতা মাহবুব আলম।
এ ছাড়া অটো-রিকশা টেম্পু শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী, পরিবহন শ্রমিক নেতা আসলাম খান প্রমুখ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নারী প্রগতি সংঘের সহ-পরিচালক শাহনাজ সুমী।
রোকেয়া কবীর বলেন, গণপরিবহনে নারীরা প্রায়শই যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। নারী নির্যাতনের ঘটনা পূর্বেও ঘটেছে, এখনও ঘটছে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে অর্জিত এই রাষ্ট্রে সবচেয়ে বৈষম্যের শিকার বাংলাদেশের নারী সমাজ। মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে এখন পর্যন্ত নিরাপদ পরিবেশ তৈরি হয়নি। বর্তমানে নারীর নিরাপত্তার জন্য সামাজিক মনমানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, পরিবহন শ্রমিকের কাজের ন্যূনতম জীবনমানের পরিবর্তনের লড়াই করতে হবে। রাস্তায় স্টপেজ ছাড়া যাত্রী ওঠানামা নিষিদ্ধ করতে হবে। গণপরিবহনে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে পর্যাপ্ত নীতিমালা তৈরি করতে হবে। পরিবহনে নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর জন্য একটা নিয়মিত ওরিয়েন্টেশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের নেতা মাহবুব আলম বলেন, রাস্তাঘাটে একটা অরাজকতা চলছে। এ অরাজকতা প্রতিরোধে আমাদের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করা প্রয়োজন।
গোলাম ফারুক বলেন, গণপরিবহনে নারী নির্যাতনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। বর্তমানে সমাজের অবক্ষয় আশংকাজনকভাবে বেড়ে চলছে।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, অনেক উদ্যোগ হলেও কাজের কাজ কিছুই নেই। গণপরিবহনে শ্রমিকরা অবহেলিত এবং অনেক সাধারণ মানুষ সম্মানের চোখে না।
রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, শুধু শাস্তি দিয়েই এ ঘটনা থেকে মুক্তি সম্ভব নয়। বরং সামাজিক পরিবেশ পরিবর্তন করতে হবে। শ্রমিক নেতা আসলাম খান বলেন, আমাদের দেশে পর্যাপ্ত গণপরিবহন নেই। যেটুকু আছে সেখানেও নারীরা নিরাপদভাবে চলতে পারে না।