মোঃ খোরশেদ আলম:
মাদক শুধু একজন ব্যক্তিকে ধ্বংস করেনা। একই সাথে একটা পরিবার ও সমাজকেও ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। সে যেই হোক না কেন। বাংলাদেশ পুলিশ মাদক কারবারিদের আইনের আওতায় আনতে সর্বোচ্চ ভাবে কাজে করে যাচ্ছে।
মাদকে আসক্ত হয়ে একটা মেধাবী ছেলের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যায়৷ একটা পরিবারের স্বপ্নভঙ্গ হয়ে যায়। ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মহোদয় এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিদিনই গুরুত্ব সহকারে মাদক কারবারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের তালিকা, তল্লাশি, অভিযান কার্য পরিচালনা করে থাকি আমার দায়িত্ব প্রাপ্ত অঞ্চলে।
গোপন সংবাদ ভিত্তিতে একটা অপারেশন রেডি করা হয়। বন্দর থানাধীন যুগিপাড়া সাকিনস্থ মোঃ মোজাম্মেল এর বসত বাড়ীতে ফেনসিডিল ব্যবসা চলে ।গত ০২/০৩/২০২০ খ্রিঃ তারিখ বিকাল অনুমান ০৬.০৫ ঘটিকার সময় কামতাল তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন খাঁন(পুলিশ পরিদর্শক নিঃ) ও সঙ্গীয় ফোর্সদের সহায়তায় অপারেশন সম্পন্ন করা হয়। অভিযান পরিচালনা করে ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
অভিযান পরিচালনা কালে আসামী ১। মোঃ মোজাম্মেল(৪৫), পিতা – মৃত মান্নান, সাং-যুগিপাড়া, থানা- বন্দর, ২। মোঃ টিটু চৌধুরী(৪২), পিতা – আবিদ উদ্দিন চৌধুরী, সাং- ১৩৮ এসজি রোড, ৩। মোঃ সুমন(৪২) পিতা- তানছিন মিয়া, সাং- ২ নং রেলগেইট, উভয় থানা- সদর, সর্ব জেলা – নারায়নগঞ্জ, আটক করা হয়।
বন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা রুজু হয়। বন্দর থানার মামলা নং- ০৩, তাং- ০২/০৩/২০২০ খ্রিঃ।
কাজের ব্যস্ততার জন্য এই আপডেটটা নিয়ে ২ দিন পর লিখতে বসলাম। এটা একটা মেসেজ সকল মাদক কারবারিদের জন্য। সবাইকেই আইনের আওতাভুক্ত করা হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। আপনার পরিচিত কোন মাদক ব্যবসায়ী থাকলে নিকটস্থ থানায় তথ্য প্রদান করুন।
লেখক: অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
নারায়নগঞ্জ ‘খ’ সার্কেল।