মোঃ খোরশেদ আলম:
পত্রিকার পাতায়, সংবাদে প্রায়শই আমরা দেখি, শুনি শিশু অপহরণ এবং মুক্তিপণ আদায়। কখনো কখনো মুক্তিপণ আদায়ের পরেও হত্যা করা হয় শিশুকে যেন পরিচয় প্রকাশ না পায় ঘাতকদের। কখনোবা মুক্তিপণ আদায়ে ব্যর্থ হয়ে হত্যা করা হয় অপহৃতদের।
১১-১২ বছরের বয়সী রহিম। সদ্য কৈশোরে পা দেওয়া। কক্সবাজারের সমুদ্রতটে বেড়ে উঠেছে সে। অপহরণকারীরা কক্সবাজার থেকে অপহরণ করে ঢাকার উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করে।
সম্ভবত, ঢাকায় নিয়ে গিয়ে তারপর দেশ বা বিদেশে কোথাও পাচার করা হত। কিংবা এমন ও হতে পারতো শারীরিক, মানসিক ভাবে অসুস্থ বানিয়ে ভিক্ষাবৃত্তির কাজে নিয়োজিত করে দিতো।
ঢাকা-চিটাগং হাইওয়ে খুব ব্যস্ত একটা সড়ক। আমার দায়িত্ব প্রাপ্ত অঞ্চলের আওতাভুক্ত এই হাইওয়ের অনেকাংশ। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আর অন্যান্য দিনের মতই রেগুলার কাজের অংশ এই হাইওয়ের চেকপোস্ট। স্বাভাবিকভাবেই চেকপোস্টে সন্দেহভাজন গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছিলো।
অল্পদূরে থাকা অপহরণকারীরা চেকপোস্টের তল্লাশি কার্যক্রম দেখে পূর্বানুমান করে যে তাদের গাড়িও চেক করতে পারে। তাই কেওঢালা স্ট্যান্ডের অল্প দূরে গাড়ি থেকে অপহৃত রহিমকে নামিয়ে দেয় চেকপোস্ট ক্রস করার পূর্বেই। হাইওয়ের পাশে কান্না করতে থাকা রহিমের কাছে তথ্য জানতে পারি তার পিতা মো.আলী জোহার,মাতা-
আরফা বেগম, থানা-জেলা কক্সবাজার।
গত (০৩/০৩/২০২০) তারিখে রহিমকে তার বাবার জিম্মায় তুলে দেওয়া হয় ।
হয়ত আগামীকাল বিভিন্ন পত্রিকায় এই নিউজ ভিন্নভাবে আসতো! বাংলাদেশ পুলিশ খুব সোচ্চার। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এখন ৯৯৯ এর মাধ্যমে কল করেও যে কেউ পুলিশের কাছ থেকে দ্রুত সেবা নিতে পারছে৷ যেকোনো সময়, যেকোনো সমস্যায় বাংলাদেশ পুলিশ আপনার পাশে আছে।
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ মহোদয় এবং পুলিশ সুপার নারায়ণগঞ্জ মহোদয়কে যাঁদের নিবিড় পর্যবেক্ষন ও নির্দেশনার ফলে জননিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে ।
লেখক: অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
নারায়নগঞ্জ ‘খ’ সার্কেল।