অ্যাডভোকটে তানজিনা:
আমার নেতা, আমার আদর্শ। আমি তাঁর একজন কর্মী হতে পেরে নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করছি। দেশে করোনা ভাইরাস আগমনের পর থেকে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার পরে যে গুটিকয়েকজন এমপি, মন্ত্রী সার্বক্ষনিক বিভিন্নভাবে জনগণের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন, তার মধ্যে আমার নেতা অন্যতম। গৌরবদীপ্ত কর্মতৎপরতা, বাচনভঙ্গি আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে। টিভি লাইভে সাংবাদিকদেরকে যখন যা বলেছেন, ঠিক সেভাবেই কাজ করেছেন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত এমন একটি কথাও বলেননি, যেটা সমালোচনার ইস্যু তৈরি করতে পারে। দেশের এই সঙ্কটময় মুহূর্তে আমাদের নেতার গতিশীল কাজ দেখে আমরা উজ্জীবিত হয়েছি। জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি করপোরেশন তথা নিজ নির্বাচনী এলাকার সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ অটুট রেখেছেন। যেগুলো দেখে আমরা প্রতিমুহূর্তে মনোবল সঞ্চার করেছি।
কিছু পাওয়ার আশায় আমি রাজনীতি করিনা। রাজনীতির মাধ্যমে যত তাড়াতাড়ি অসহায়, অবহেলিত মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়, অন্য কোন পেশায়, সেটা সম্ভব নয়। সেজন্যই রাজনীতি করা। আমার শ্রদ্ধা, সম্মান, ভালোবাসা আমি কখনো অপাত্রে দান করিনা। যিনি সম্মানের দাবিদার তাঁকে অবশ্যই সম্মান করি। জোর করে, মানুষ কখনো সম্মান আদায় করতে পারেনা, আমি তা হলফ করে বলতে পারি।
আমার নেতার উপর যে দায়িত্ব অর্পিত ছিলো তিনি সেগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পালন করেছেন। সেজন্য আমি গর্ববোধ করছি। সেই সূত্র ধরেই বলছি, সব জায়গায় সব সময় যোগ্য ব্যক্তি বসেনা। তার প্রমাণ আমাদের আজকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। প্রথম থেকেই উনার কাজকর্ম, কথা বলার ধরন সব কিছুই ছিলো এলোমেলো প্রকৃতির। সব মন্ত্রী, এমপির কাজ যদি প্রধানমন্ত্রীকেই সামলাতে হয়, তাহলে জায়গায়-জায়গায় এসব পদে মানুষ বসিয়ে রেখে কি লাভ? আজকে দেশের এই দুর্যোগ মোকাবিলায় যে মন্ত্রীর উপর দায়িত্ব ছিলো ৮০%, তিনি হলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কিন্তু জনগণ উনাকে একদিনের জন্যেও সেরকম কর্মতৎপরতা দেখেননি। জাতির জন্য এটা দুঃখজনক। লিখিত কথাগুলো দেখে দেখে প্রেসব্রিফিং করেছেন, সেখানেও ভুল!
শেখ হাসিনার অবস্থা অনুভব করে, আমরা কষ্ট পাই! একজন মানুষ কতদিক সামলাতে পারে? তবে যে যাই বলুন, সকলের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আমাদের নেতা, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম যদি আজকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিকের মত হতেন, তাহলে লজ্জায় আমাদের মাথা কাটা পড়তো। আমাদের মন্ত্রীর জন্য সকলের দোয়া কামনা করছি।
লেখক: জেলা পরিষদ সদস্য, কুমিল্লা।