মোঃ খোরশেদ আলম:
বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৩% আসে গার্মেন্টস শিল্প থেকে৷ আমাদের অর্থনীতির সিংহভাগ আয় এই খাতে। এই গার্মেন্টস শিল্প কেন্দ্রিক কয়েক লাখ পরিবার নির্ভরশীল। আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় করোনার জন্য রেড জোন আবার দেশের অন্যতম শিল্পাঞ্চল ও এই এলাকা। যেখানে অসংখ্য ছোট বড় গার্মেন্টস, কলকারখানা।
করোনা ভাইরাসের মহামারির জন্য থমকে আছে জীবন ও জীবিকা। এক দিকে মানবিক বিপর্যয়। অন্যদিকে অর্থনৈতিক বিপর্যয়। মিলিয়ন ডলারের ইন্টারন্যাশনাল অর্ডার ক্যান্সেল, প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কা, শ্রমিকদের মানবেতর জীবন!
সরকার, গার্মেন্টস মালিক, শ্রমিক, পুলিশ প্রশাসন এবং সাধারণ নাগরিক সবার জন্যই একটা চ্যালেঞ্জিং কাজ এই করোনা মহামারী সময়ে। অর্থনীতি চালু রাখা আবার নিরাপদ থাকা! অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি প্রবাহমান রাখতে যেমন গার্মেন্টস খাত খোলা দরকার, আবার শ্রমিকদের শতভাগ সেইফটি ইস্যু নিশ্চিত করাও জরুরি।
সোনারগাঁও এবং বন্দর থানায় বেশ কয়েকটা গার্মেন্টস পরিদর্শন এবং মনিটরিং করতে বের হই গতকাল ১৫/০৫/২০২০ এবং আজ ১৬/০৫/২০২০ ইংরেজি তারিখে।
গার্মেন্টস মালিক, শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এবং শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করি। কোনভাবেই এই মহামারীতে যেন শ্রমিক অসন্তোষ না হয়। সবার প্রাপ্য বেতন, বোনাস যথাসময়ে প্রদানের ব্যপারে এবং নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কাজে মনিটরিং।
গার্মেন্টস মালিকদের এবং শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের বারবার একটা ব্যাপার বুঝাতে চেয়েছি যেন শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় আর শ্রমিক অসন্তোষ যেন না হয়। শ্রমিকদের শতভাগ নিরাপত্তা, গার্মেন্টসে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, প্রবেশমুখে স্পে করে প্রবেশ করানো।
বাংলাদেশ পুলিশের জীবন্ত কিংবদন্তী, পুলিশ বাহিনীর রত্ন, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, জনাব হাবিবুর রহমান বিপিএম(বার), পিপিএম(বার) মহোদয় এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ জায়েদুল আলম,পিপিএম(বার) মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা, জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যায়ক্রমে প্রতিনিয়ত সবজায়গায় মনিটরিং কার্যক্রম চলমান।
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন৷ অকারণে বাইরে ঘুরাঘুরি করবেন না৷ সবাই দোয়া করুন আল্লাহ রাব্বুল আল–আমিন যেন আমাদের সবাইকে মুক্তি দেয় এই ভয়াবহ করোনা ভাইরাস থেকে।
লেখক: অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
নারায়নগঞ্জ ‘খ’ সার্কেল।