ডেস্ক রিপোর্ট: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ছোট কুমিরা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে র্যাবের সঙ্গে ডাকাত দলের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় অন্ত:জেলা ডাকাত দলের ৩ সদস্য নিহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোর রাত সাড়ে ৩টায় সময় এঘটনা ঘটে। ছোট কুমিরা এলাকায় র্যাবের টহল দল ও আন্তঃজেলা ডাকাত দলের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে, পরে ঘটনাস্থল থেকে তিন জনের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। এ সময় একটি বিদেশী পিস্তল সহ দুটি অস্ত্র, ১২ রাউন্ড গুলি এবং বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে র্যাব। র্যাবের পক্ষ থেকে তাৎক্ষনিক ভাবে নিহত তিন ডাকাতের পরিচয় জানাতে পারেনি।
উল্লেখ্য যে, গত ৩ জুন র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২ জন নিহত হয়েছিলেন। এর আগে গত ৩ জুন দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সীতাকুণ্ডের কুমিরা বাইপাসে কাজীপাড়া এলাকায় ছোট কুমিরা সেতুর ওপর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহত হয়েছিলেন। নিহত দুজনের মধ্যে একজনের বয়স ২২ থেকে ২৩ বছর এবং অন্যজনের বয়স ৩৭ থেকে ৩৮ বছর। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ওয়ান শুটারগান, ৩১টি গুলি ও বেশ কিছু ছুরি ও রামদা জব্দ করা হয়।
র্যাবের দাবি, নিহত দুজন ঈদে ঘরমুখী মানুষকে বহনকারী গাড়িতে ডাকাতি করছিলেন। তবে মঙ্গলবারের ঘটনার আগে সীতাকুণ্ডে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩ অক্টোবর। উপজেলার উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় র্যাব ৭ এর টহলদলের সাথে গুলি বিনিময়ে চাঞ্চল্যকর ডা. শাহ আলম হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ডাকাতদলের প্রধান নজির আহমেদ সুমন ওরফে কালু (২৬) নিহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তলসহ দুটি অস্ত্র ও ২৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে র্যাব ৭। চলতি বছরে ৬ ডাকাত র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।
সীতাকুণ্ড থানার এস আই রফিক বলেন, নিহত তিন ডাকাতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।