ফোরজির পর এবার দেশে ফাইভজি সেবা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই সেবা চালু হলে গ্রাহকরা ফোরজি অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী নেটওয়ার্ক ও বিভিন্ন ধরনের সেবা এবং কার্যক্রম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারবে।
সূত্র জানায়, ফাইভজি সেবা গ্রাহক প্রতি ডাটা স্পিড, স্পেকট্রাল এফিসিয়েন্সি, মোবিলিটি, টাইম ডিলে এর মতো নেটওয়ার্ক ডিমেনশন অনেক উন্নত হবে। বর্তমানে মোবাইল গ্রাহক হিসেবে শুধু মানুষকে বিবেচনা করা হয়। তবে ফাইভজি প্রযুক্তির সেবার প্রধান সার্ভিস হলো ইন্টারনেট অব থিংস (আওটি)। যেখানে মেশিন থেকে মেশিনে কমিউনিকেশনের জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসগুলোকেও গ্রাহক হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এদিকে মোবাইল ফোন অপারেটররা ফোরজি সেবা চালু করলেও তা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করছেন অনেক গ্রাহক।
বাংলাদেশ সরকারের ফাইভজি সেবা প্রবর্তনের লক্ষ্যে ফাইভজি সংশ্লিষ্ট পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাবনা ও নীতিমালা প্রণয়নের জন্য সরকারের প্রতিনিধি, টেলিযোগাযোগ সেক্টরের নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি) প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি, আর্মডফোর্সেস ডিভিশন অপরাটরদের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গত ৪ আগস্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পরিকল্পনা অনুসারে ফাইভজি চালু ও সেবা প্রদানের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং সংস্থার সহায়তা দরকার। এ সংক্রান্ত সেবা প্রদানের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। নীতিমালা প্রণয়নের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাবনা ও প্রয়োজনীয় সব তথ্য দিয়ে সহায়তা প্রদানের জন্য বিটিআরসির পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এদিকে মোবাইল ফোন অপারেটররা ফোরজি সেবা চালু করলেও তা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করছেন অনেক গ্রাহক। দেশের অনেক স্থানেই ফোরজি নেটওয়ার্ক না থাকা কিংবা থাকলেও তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। গেল বছর ১৯ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে চতুর্থ প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি বা ফোরজি সেবা চালু করে ৩টি মোবাইল ফোন অপারেটর।
এ নিয়ে গ্রাহকদের অবহিত করতে নানা ধরনের বিজ্ঞাপনও দিয়েছিল মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন, রবি এবং বাংলালিংক। কিন্তু বাস্তবে গ্রাহকরা কতটা পাচ্ছেন এই সেবা?
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসির নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথম পর্যায়ে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে ফোরজি সেবা চালুর জন্য ৯ মাস সময় দেওয়া হয় মোবাইল অপারেটরদের। সারা দেশে এর বিস্তৃতির জন্য সময় দেওয়া আছে ৩ বছর। কথা ছিল ফোরজি সেবা চালু হলে নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক, ভিডিও ডাউনলোড, লাইভ স্ট্রিমিংসহ নানারকম সেবা পাবেন সাধারণ মানুষ।
কমবে কলড্রপ, বাড়বে সেবার মান। কিন্তু এর জন্য মোবাইল ফোনের ইন্টারনেটে যে ধরনের গতি দরকার তার উন্নতি হয়নি। বিশ্বে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেটের গড় গতি ১৬ এমবিপিএসের উপরে। বাংলাদেশে তা কত হবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো ধারণা দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।