স্টাফ রিপোর্টার: কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিপুলাসার ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি ইকবাল মাহমুদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বিপুলাসার ইউনিয়নের সাইকচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুবলীগ নেতা ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেন, সমাজের সকল অপকর্মের সাথে শাহজাহান পাটোয়ারী সাজু বাহিনী জড়িত। তাদের ঘৃণ্য অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তারা আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে। প্রিয় এলাকাবাসীর তাদের অন্যায়, অপরাধ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। আমি শান্তিপ্রিয় এলাকাবাসীর পক্ষে আছি, তাদের পক্ষে থেকে অন্যায়-অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে যাব।
লিখিত বক্তব্যে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘আমার বাবা ছিলেন বিপুলাসার ইউনিয়নের একজন জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ি। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে আমার বাবা আওয়ামীলীগ করার অপরাধে বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছিল। হামলায় আমার বাবার পেটের নাড়ি-ভুড়ি পর্যন্ত বের করে ফেলেছে। কোন বিচার আমরা পাইনি। আমিও স্কুল জীবন থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হওয়ার পর থেকে অদ্যাবদি সেই আদর্শ বুকে ধারণ করে রাজনীতি করে আসছি। বাবার মৃত্যুর পর রাজনীতির সাথে ব্যবসা বাণিজ্য করে জীবন যাপন করে আসছি। লাকসাম-মনোহরগঞ্জ উপজেলার উন্নয়নের রূপকার এলজিআরডি মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক রাজনীতি করছি। বর্তমানে আমি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে সকল নেতাকর্মীদের সাথে সমন্বয় করে বিপুলাসার ইউনিয়ন যুবলীগকে অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত যুবলীগ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, গত কয়েকদিন থেকে একটি কুচক্রি মহল আমার বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ জুন আন্তঃজেলা ডাকাত দলের অন্যতম হোতা ও মাদক সম্রাট হিসেবে এলাকায় পরিচিত শাহজাহান পাটোয়ারী সাজু, নজরুল ইসলাম, সেলিম, রবিউল, সুজনসহ পাঁচ/ছয় জন কুমিল্লায় একটি সংবাদ সম্মেলন করেছিল। সংবাদ সম্মেলনে আমার বিরুদ্ধে তারা বিভিন্ন অভিযোগ এনেছিল যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ২১ শে জুন কয়েকটি দৈনিক, সাপ্তাহিক পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আমি উক্ত মিথ্যা, বানোয়াট অভিযোগগুলোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘গত কয়েক মাস পূর্বে এই চক্রটি চাঁদা না পেয়ে আমার ছোট ভাইয়ের উপর এবং তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করেছিল। সমাজের সকল অপকর্মের সাথে শাহজাহান পাটোয়ারী সাজু বাহিনী জড়িত। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষন, ডাকাতি, গরু চুরি, মাদক ও চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করলেই তো আমাকে অপরাধী বানাতে পারবে না যদি বাস্তবতা না থাকে। আমি জাতির জনকের আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করি কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতে পারবো না।’
তিনি বলেন, গত ২০ জুন আন্তঃজেলা ডাকাত দলের অন্যতম হোতা ও মাদক সম্রাট হিসেবে এলাকায় পরিচিত শাহজাহান পাটোয়ারী সাজুসহ কতিপয় দৃষ্কৃতিকারী ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে কুমিল্লায় সংবাদ সম্মেলনে যে তথ্যাবলী দিয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমি তাদের মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মিথ্যা গুজবে কর্নপাত না করতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে বিপুলাসার ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ এবং সাজু বাহিনী কর্তৃক নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মধ্যে থেকে সাইকচাইল গ্রামের নুরুজ্জাহান বেগম, সেনোয়ারা বেগম, পেয়ারা বেগম, রহিমা বেগমসহ শতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা।