বাংলা বছরের আশ্বিন মাস চলছে। আশ্বিনের মাঝামাঝি এই সময়ে তীব্র গরমের মধ্যে যেন স্বস্তির ছোঁয়া এনে দিয়েছে বৃষ্টি। কিন্তু বিপত্তি অন্যখানে, আশ্বিনের এই বৃষ্টিতে রোববার জলমগ্ন হয়ে যায় পুরো রাজধানী।
বিশেষ করে রাজধানীর পুরান ঢাকার অনেক জায়গা হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে যায়। এর মধ্যে নাজিরা বাজার, বংশাল, নিমতলি ও বঙ্গবাজারের সামনের সড়কে সবচেয়ে বেশি পানি দেখা যায়।
এ ছাড়া মিরপুরের বিভিন্ন এলাকাসহ ঢাকার অনেক সড়কে পানি জমে যায়। এদিকে টানা বৃষ্টিতে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের বিভিন্ন পয়েন্টেও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন কয়েক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। অফিস শেষে অনেকেই বৃষ্টির পানি মাড়িয়ে সচিবালয় ত্যাগ করতে দেখা গেছে।
রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে শুরু হওয়া মুষলধারের বৃষ্টি টানা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে।
অন্যদিকে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি চলবে আগামী কয়েক দিন। চলতি মাসের শেষ এবং আগামী মাসের শুরুর পুরো সপ্তাহজুড়েই থেমে থেমে বৃষ্টি হবে। কোথাও ভারী আবার কোথাও হালকা পরিমাণে বৃষ্টি হবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সে সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
রোববার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদী বন্দর সমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদী বন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।